চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১৮ আগস্ট, ২০১৯ | ৮:৫১ অপরাহ্ণ

‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জিয়াসহ এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কুশীলবদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতির পিতার খুনীদের বিচার সম্পূর্ণ হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তথ্য ভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ, পলাতক খুনি ও বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার এখনও হয়নি।’ এ জন্য একটি কমিশন গঠন করে বিচার সম্পন্ন হলে তা ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচারের জন্য একটি কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।

এ সময় জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাস নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের করা ‘বেগম জিয়া পাকিস্তানি সেনাদের কাছে যে সম্মান পেয়েছিলেন, এখন তাও পাচ্ছেন না’ মন্তব্যের সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। বলেন, ‘এমন মন্তব্যে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর কাউকে পানি খাওয়ানোর অপরাধেই পাকিস্তানি সেনারা মানুষ হত্যা করেছে, দুই লাখ সত্তর হাজার মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, সেই পাকিস্তানি সেনাদের খালেদা জিয়াকে এত খাতিরের কারণ কী, সেটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’

‘জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনে ঢাকার অনেকে যুদ্ধে গিয়েছিলেন’—বিএনপি নেতাদের দেওয়া এমন বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বেতারের তখনকার সম্প্রচার আওতা ছিল ১০ কিলোওয়াট, যা কার্যত ছিল ৬ কিলোওয়াট। বর্তমানে তা ১০০ কিলোওয়াট হলেও চট্টগ্রামের বাইরে বেশি দূর তা শোনা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নান। তারপর তারা একজন সেনা অফিসার দিয়ে ঘোষণা পাঠ করাতে চান। প্রথমবার জিয়াউর রহমান ভুল পড়েন, পরে তা শুধরে আবার পাঠ করেন। তিনি সেটা চার দেয়ালের মধ্যে পাহারায় থেকে পাঠ করেছিলেন আর চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের কর্মচারী নূরুল হক জীবন বাজি রেখে ২৬ মার্চ পুরো চট্টগ্রাম শহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা রিকশায় মাইকিং করেছেন।’
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানও বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য ভূমিকার জন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় তথ্যসচিব আবদুল মালেক, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নিজামুল কবীর তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করেন।

সভাশেষে সবাই তথ্য ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুর্লভ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।

পূর্বকোণ/আল-আমিন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট