প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা থেকে আরও অল্প সময়ের মধ্যে যাতে রেলে চট্টগ্রামে পৌঁছানো যায়, সেলক্ষে নতুন একটা রেললাইনের চিন্তা করছি। এটা আমরা করব। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক চাপটা আমাদের ওপরে আছে, এটা কমে গেলে এ কাজগুলো করতে পারব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাক।

রবিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ড্রাইডক স্পেশাল ইকোনমিক জোনসহ ৫০টি শিল্প এবং অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ দ্রুত হয়েছে। কক্সবাজারে আমরা আন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট করে দিচ্ছি। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল করে দিচ্ছি। এপারের মানুষ ওপারে যেতে আর অসুবিধা হবে না। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলসহ এইগুলো বঙ্গবন্ধুর হাতেই শুরু হয়েছিল। আমরা তারই পথ অনুসরণ করে সারা বাংলাদেশব্যাপী শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি। শুধু একটি অঞ্চলভিত্তিক নয়, প্রতিটি অঞ্চলে যাতে হতে পারে।

ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর হাওয়া ভবন নেই। কোন কাজ পেতে হলে আর এখানে-সেখানে ছোটাছুটি করতে হয় না। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন সেই সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার। আপনারা মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করলে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগিতা পাবেন। আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতা এসেই আমাদের একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।

শিল্পায়ন ও কৃষির ভারসাম্য রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য জায়গা দিয়ে সুযোগ করে দেওয়া হয়। শিল্পায়ন করতে গিয়ে ফসলী জমি নষ্ট করা যাবে না। যারা জমি দিবে তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের কৃষি প্রধান অর্থনীতি, কিন্তু শিল্পায়ন ছাড়া একটা দেশ উন্নত হয় না, কর্মসংস্থান হয় না। আমাদের কৃষিও যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। সেই চিন্তা করে বেসরকারির সমস্ত খাতকে উন্মুক্ত করে দেই, পাশাপাশি তাদের উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ