চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দুই কারণে মিলছে না প্রবাসী সন্তানদের প্রতিবন্ধী ভাতা

মোহাম্মদ আলী

২৮ অক্টোবর, ২০২২ | ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

প্রচারের অভাব ও আবেদনে ত্রুটির কারণে কাক্সিক্ষত ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রবাসীর প্রতিবন্ধী সন্তানরা। এ কারণে ২০২২ সালে চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৮ জন এ ভাতা পেয়েছে। অথচ আবেদন করেছিল ২১ প্রতিবন্ধী। কিন্তু আবেদনে ত্রুটির কারণে তিন প্রতিবন্ধী সন্তান ভাতা পায়নি।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা বৃত্তির পর চালু করা হয় প্রবাসী সন্তানদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা। চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে ভাতার আওতায় আনতে দরখাস্ত আহ্বান করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এ ভাতা চালু করেছে। ৫ বছর মেয়াদে প্রবাসী কর্মীর প্রতিজন প্রতিবন্ধী সন্তান মাসে ১ হাজার টাকা করে এ ভাতা পাবে। কোন প্রবাসীর একের অধিক প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এ বিষয়ে চলতি বছরের মার্চে দরখাস্ত চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু সরকারের যথাযথ প্রচারের অভাবে বেশিরভাগ প্রবাসী পরিবার এ বিষয়ে জানতে না পারায় আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া আবেদনকারীদের কয়েকজন ত্রুটিপূর্ণ দরখাস্ত করায় তারা ভাতার জন্য নির্বাচিত হয়নি।

 

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘২০২১ সালে চট্টগ্রাম থেকে ২১ জন প্রবাসী কর্মীর প্রতিবন্ধী সন্তান ভাতার জন্য মনোনীত হয়। তারা প্রতিমাসে ১ হাজার করে বছরে ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছে। চলতি ২০২২ সালের জন্য নতুন আবেদনকৃতদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন ভাতার জন্য মনোনীত হয়। এর মধ্যে তিনজন ত্রুটিপূর্ণ আবেদন করায় তারা ভাতার জন্য মনোনীত হয়নি।’

 

জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একজন প্রবাসীর বিএমইটি’র বহির্গমন ছাড়পত্র অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ থাকতে হবে। তাছাড়া প্রতিবন্ধী সন্তানের থাকতে হবে সরকারের সমাজসেবা অফিসের প্রত্যয়নপত্র। কিন্তু আবেদনকৃত কয়েকজন আবেদনে এ সংক্রান্ত কোন ধরনের কাগজপত্র জমা দেয়নি। এ কারণে তারা ভাতার জন্য মনোনীত হয়নি।’

 

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে মৃত প্রবাসীর ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্র্তৃক ইস্যুকৃত এনওসিতে বৈধতার কথা উল্লেখ থাকতে হবে অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত প্রবাসীর পরিবার হতে হবে। একজন প্রবাসীর কর্মীর সর্বোচ্চ দুইজন প্রতিবন্ধী সন্তানকে এ ভাতা প্রদান করা হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির জন্য চট্টগ্রাম থেকে যারা আবেদন করবে তারা চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে যথাযথ সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট