চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সৌদিতে খুন হওয়া প্রবাসীর লাশ এল চারমাস পর, মামলায় ৮ প্রবাসী

অনলাইন ডেস্ক

৫ অক্টোবর, ২০২২ | ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

সংসারে সচ্ছলতা আনতে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেফিন খান (৩১)। চার বছর ভালভাবে কাটালেও ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে গত ২ জুন তিনি খুন হন বলে অভিযোগ পরিবারের। দীর্ঘ চারমাস অপেক্ষার পর তার লাশ দেশে আনা হয়েছে। তিনি সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে গ্রামের বাড়িতে আরেফিনের লাশ পৌঁছার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পরে দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

 

এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের ছোট ভাই আশিক খান বাদী হয়ে সরাইল থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে আসামিরা হলেন শাহজাদাপুর গ্রামের ফখরুল ইসলাম ওরফে ফারুক (৪৮), তার বড় ভাই জিতু রহমান (৫৫), সাদেক মিয়া (২৮), তার মা জৈবন বেগম (৫২), সাদেকের বড় ভাই সুমন মিয়া (৩০), ছোট ভাই জাকির মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেন (২৫) ও মিজান মিয়া (৪৮)।

আরেফিনের পরিবার জানায়, চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন সবার বড়। পরিবারের সবার সুখের কথা ভেবেই সে চার বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। মধ্যস্থতা করেছিলেন ওই গ্রামের ফখরুল ইসলাম। তিনি এখনো সৌদি আরবেই আছেন। আরেফিনের কাছে ২৫ লাখ টাকা জমা ছিল। ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ফখরুলসহ একটি দালাল চক্র আরেফিনের পিছু নেয়। চক্রটি আরেফিনকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার আশা দেখায়। আরেফিনও ফাঁদে পা দেন।

 

পরে আরেফিনের সহকর্মীদের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, গত ২ জুন সৌদি আরবের সাফা এলাকার মরুভূমিতে নিয়ে আরও কয়েকজনসহ ফখরুল আরেফিনকে খুন করেন। মৃত্যুর তিন দিন পর আরেফিনের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের হিমাগারে রাখে ওই দেশের পুলিশ।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মামলার আসামিদের মধ্যে চারজন সৌদিপ্রবাসী। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/এএস/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট