করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে কোটা অনুযায়ী এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নব-নির্বাচিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের যতটুকু আনঅফিসিয়াল কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী তাদের বিষয়ে যতটুকু জেনেছি, এবার হয়তো পূর্ণ হজই হবে। গত বছর আমাদের যেটা হয়েছিল সেটা হয়তো নাও হতে পারে, এবার হয়তো আমরা যতটুকু পাওয়ার ততটুকু পাব। আর ৬৫ বছরের বিধিনিষেধের বিষয়টিও এবার নাও থাকতে পারে। এ জিনিসটা আমরা এরই মধ্যে তাদের কাছে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এখনও অনেকের আগামী বছর হজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। হয়তো ১০ দিন পর সেটা থাকবে না। রেজিস্ট্রেশন ১২ হাজার পার হয়েছে। সরকারিভাবে হয়তো সর্বোচ্চ ১৫ হাজার পেতে পারি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার মানুষ হজ পালন করেন। ২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। ২০২০ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশির হজ পালনের সুযোগ ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেনি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা সংক্রমণ কমে এলে চলতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব। এবার বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসল্লি হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে এবার ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
পূর্বকোণ/এএস/পারভেজ