চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মেয়ের দাবি লাশ পেয়েছি, নিশ্চিত নয় পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন। তবে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এবং ময়মনসিংহ পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তারা মোটেও নিশ্চিত নয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র’। এর কিছু সময় পর তিনি ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। যা অনেক মানুষ শেয়ার করেছেন এবং স্ট্যাটাসের নিচে অনেকে কমেন্টস করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

মোবাইল ফোনে তার ভাই মো. সাদী জানান, তার বোন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে এবং কান্নাকাটি করছে। তবে কখন, কোথা থেকে ও কীভাবে তার মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেন, বিস্তারিত তার বোন জানে।

নিখোঁজ ওই নারীর বাড়ি খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকায়। দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

ওই নারী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছে পিবিআই। সংস্থাটির খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই নারীর মেয়ে মরিয়ম মান্নানের সঙ্গে কথা বলেছে। মরিয়ম মান্নান তাদেরকে জানিয়েছে যে, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকা থেকে তার মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানা এলাকা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বয়স ৩২ বছর উল্লেখ করে দাফন করা হয়েছে‌। আর খুলনার যে নারী নিখোঁজ রয়েছে তার বয়স ৫২ বছর। মরিয়ম মান্নান তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন যে, পরনের কাপড়ের ছবি দেখে তিনি তার মায়ের লাশ সনাক্ত করেছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ফুলপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করা মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছে। তদন্ত কর্মকর্তা মরিয়ম মান্নানকে আগামীকাল ফুলপুর থানায় যাওয়ার জন্য বলেছেন। সেখানে তার ডিএনএ সংগ্রহ করে উদ্ধার করা মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি ডিএনএ মেলে তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী খাতুন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট