চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ফখরুলদের হৃদয়ে পাকিস্তান সেটি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১০:৪২ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, তাঁর নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাদের দল যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেনা, হৃদয়ে যে পাকিস্তানকেই লালন করে সেটির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাই বিএনপিসহ সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহন করুক। তারাই নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাই। ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচন থেকে পালাতে গিয়ে আবার অংশগ্রহন করেছিল। আগামী নির্বাচনেও তারা প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহন করুক সেটিই আমরা চাই। কিন্তু তারা আন্দোলনের নামে যেভাবে আবার নিজেরা মারামারি করছে, পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে, আবার পেট্টোলবোমা সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে, এজন্য জনগণই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, যেখানে আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানব উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসহ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে ২০১৫ সালে অতিক্রম করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি বটেই, এমনকি ভারতের চেয়েও বেশি। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার আগে দারিদ্র্যসীমার হার বাংলাদেশে ৪১ শতাংশ ছিল, এখন সেটি ২০ শতাংশে নেমেছে। মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলারের ওপরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছরের বেশি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানও সেটি স্বীকার করে। আমরা যে পাকিস্তানকে ফেলে অনেকদূর এগিয়ে গেছি সেটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে পাকিস্তানের সাবেক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ রাজনীতিবিদরা স্বীকার করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল ঠাকুরগাঁও গিয়ে বললেন পাকিস্তানই ভালো ছিল।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সবসময় চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করার পরিবর্তে নির্বাচনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। পাঁচশ নির্বাচনি ভোটকেন্দ্র স্কুলঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। শিশু-কিশোরদের বই জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা চাই তারা পুলিশের ওপর ও জনগণের ওপর হামলার পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক। তারা যেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাবেশ করে সেখানেতো পুলিশ কখনো বাধা দেইনা। যেখানে তারা সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করছে, সেখানে পুলিশকে আত্মরক্ষার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। জনগণও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট