চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শান্তির জন্য এক হয়ে কাজ করবে ২৪ দেশের সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ | ১০:১৭ অপরাহ্ণ

আঞ্চলিক তথা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিয়ে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার (আইপিএএমএস) ২০২২ শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিক।

শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ. ফ্লিনসহ ২৪ দেশের সামরিক নেতা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জেনারেল শফিউদ্দিন এবং জেনারেল ফ্লিন বিদায়ী বক্তব্য রাখেন এবং আইপিএএমএস-২০২২ এ অংশগ্রহণকারী সব দেশের প্রতিনিধিদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। এ ছাড়া পরবর্তী আয়োজক হিসেবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিনিধির কাছে আইপিএএমএসের পতাকা হস্তান্তর করা হয়। সবশেষে বাদ্যযন্ত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

বিদায়ী বক্তব্যে জেনারেল ফ্লিন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার দৃঢ় বার্তা পাঠাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৪টি দেশের স্থলবাহিনীর নেতারা এ সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে এ সম্মেলন আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৬তম আইপিএএমএস -২০২২ এর উদ্বোধন করেন। ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ’ নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ২৪টি দেশের সিনিয়র সামরিক নেতারা। এবারের সম্মেলনে বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্থলবাহিনীর ভূমিকা বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, সম্মেলনের একটি পর্ব কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি’ বিষয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকে মিলিত হন অংশগ্রহণকারী সামরিক নেতারা। এ ছাড়া জুনিয়র নেতারা পেশাদারিত্বের ওপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশ নেন। সম্মেলন শেষে প্রতিনিধিদলটি উখিয়ায় বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।

সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীর ক্ষমতায়নে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

এরপর, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানে স্থলবাহিনীর ভূমিকা শীর্ষক সেশনে অংশ নেন। এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে অতিথিদের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট