চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আগের মজুরিতে কাজে ফিরছেন

অনলাইন ডেস্ক

২২ আগস্ট, ২০২২ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে আগের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকাতেই বাগানে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চা শ্রমিকরা। রবিবার (২১ আগস্ট) রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও চা শ্রমিক নের্তৃবৃন্দের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সোমবার (২২ আগস্ট) থেকে কাজে ফিরছেন শ্রমিকরা।

জানা যায়, গত ২০ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা-শ্রমিক ও সরকারের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় ১৪৫ টাকা। এরপর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানান চা-শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সাধারণ চা-শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন চা-শ্রমিক ইউনিয়ন।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘চা শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরম শ্রদ্ধা করেন। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই সিদ্ধান্ত। চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নেবো। আজ থেকে শ্রমিকরা বাগানে ফিরবেন এবং যথারীতি কাজ করে যাবেন।’

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ‘আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। আমরা ১৪৫ টাকা মজুরি প্রত্যাখান করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’

রবিবার রাতে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো—প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তার সম্মানে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আজ থেকে কাজে যোগ দেবেন। আপাতত চলমান মজুরি ১২০ টাকা হারেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন। মজুরির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে বলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।

আসন্ন দুর্গাপূজার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন, যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপস্থাপিত হবে। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করবেন। জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর সময় বিবেচনা জানাসহ তার কার্যালয়ে পাঠাবেন। বাগান মালিকরা বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরি শ্রমিকদের পরিশোধ করবেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দফতর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট