চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ইনডেমনিটি আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন জিয়া : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

১৮ আগস্ট, ২০২২ | ৭:১৪ অপরাহ্ণ

জিয়া ও তার দল বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিলেন, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন জিয়া। ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে শতশত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরেছে।

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলব অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরের আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ‘ল’ করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই, সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না। অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়। তবে আইনের যাতে কোন অপপ্রয়োগ না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

ফিলিস্তিন ও মিয়ানমারে চলমান সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত ফিলিস্তিন, মিয়ানমারের দিকে নজর দেওয়া। ফিলিস্তিনে শিশুরা ইসরায়েলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়লে প্রত্যুত্তরে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা এসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেওয়া উচিত।

 

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট