চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লিবিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে প্রবাসি বাংলাদেশিকে নির্যাতন

অনলাইন ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০২২ | ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

পাঁচ মাস আগে জীবিকার তাগিদে লিবিয়ায় যান ফরিদপুরের জনি মোল্লা। প্রথম তিন মাস বাড়িতে টাকা পাঠালেও ১২ জুলাই থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় মা-বাবার। পরে এক ভিডিও কলে প্রিয় সন্তানকে দেখতে পান নির্যাতিত অবস্থায়। এতে দেখা যায়, উপুড় করে ঝুলন্ত জনির সারা শরীরে মারের দাগ বসে আছে। চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর তার মুক্তি মিলবে বলে জানায় জিম্মিকারীরা।

জনির পরিবার জানায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা কবির মোল্লা ও লাইলী বেগমের একমাত্র ছেলে জনি মোল্লা (৪০)। লিবিয়া যাওয়ার পর জনি তিন মাসে তার বাবাকে ৬৭ হাজার ৩০০ টাকা পাঠান। এরপর ১২ জুলাই থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েকদিন পর ভিডিও কল করে দেখানো হয় ছেলেকে নির্যাতনের দৃশ্য। প্রথমে তাদের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় তারা। এ সময় জমি বিক্রি করে কানাইপুর ইসলামী ব্যাংকের একটি নম্বরে তিন লাখ টাকা দেন। এরপর চাওয়া হয় আরও এক লাখ টাকা। সে টাকা জোগাড় করতে দেরি হলে নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে তারা ইসলামী ব্যাংকের ওই অ্যাকাউন্টের মালিকের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুলাই মধুখালী থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার পরের দিন ফেনী থেকে ওই প্রতারকচক্রের প্রধান মাহবুব ভূঁইয়া রাজীবকে আটক করে মধুখালী পুলিশ। এরপর জনির ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বাকি টাকা না পেলে জনিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান তার বাবা-মা। সন্তানকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জনির দুই পা শিকল দিয়ে বেঁধে মাথা নিচ করে ঝুলিয়ে রেখে বেদম প্রহার করা হচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুই হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে মাথা নিচে রেখে দুই পায়ের তালুতে প্রহার করছেন নির্যাতনকারীরা।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন বলেন, দালাল চক্রের একজনকে গ্রেপ্তারের পর তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার তথ্যমতে চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তারে সিআইডি ও পুলিশের সেল ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি জড়িত সবাই তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে। এছাড়া জনিকে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

 

পূর্বকোণ/এএস/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট