চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এবার বিজ্ঞাপন দিয়ে মায়ের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মেয়ে

অনলাইন ডেস্ক

৪ আগস্ট, ২০২২ | ৭:৩১ অপরাহ্ণ

তালাকপ্রাপ্ত এক মায়ের জন্য এবার পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন মেয়ে ফারাহ জামান। উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে গেলে মা একা হয়ে পড়বেন এই ভাবনা থেকেই ফারাহ ও তার ভাই রেহমান মুশফিক মায়ের অনুমতি নিয়ে এ বিজ্ঞাপন দেন।

জানা গেছে, মুস্তারি পারভীনের বয়স এখন ৪৫ বছর। ৭ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দিয়ে তিনি বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু ২০১০ সালে ১৪ বছরের সংসারে হঠাৎ বিচ্ছেদের সুর বেজে ওঠে। এরপর মুস্তারি পারভীন একা হাতে দুই সন্তানকে মানুষ করার দায়িত্ব নেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মুস্তারি পারভীন গত ১০ বছর ধরে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। তার মেয়েও এসএসসি শেষ করে পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর বিদেশে চলে গেলে তাদের মা আরও একা হয়ে পড়বেন। এদিকে তার বড় ভাই রেহমান মুশফিক এ-লেভেল সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

মায়ের এই একাকিত্বের কথা ভেবে মঙ্গলবার রাতে ‘বিসিসিবি মেট্রিমনিয়াল: হেভেনলি ম্যাচ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন ফারাহ। মায়ের চারটি ছবিসহ ফারাহ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমার আম্মুর জন্য পাত্র খুঁজছি।’

মায়ের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যে ফারাহ জানান, ‘পাত্রীর নাম মুস্তারি পারভীন। জন্ম ১৯৭৭ সালে। উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ৫৮ কেজি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্থায়ী ঠিকানা: দিনাজপুর, বর্তমান ঠিকানা: মিরপুর। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।’

ফারাহ তার পোস্টে আরও লিখেন, ‘আমার মা একজন ডিভোর্সী নারী। ডিভোর্সের ১২ বছর হতে যাচ্ছে। তার ২২ বছরের একটি ছেলে এবং ১৮ বছরের একটি মেয়ে আছে। এতদিন বাচ্চাদের জন্য বিয়ে করা হয়নি। এখন তার বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে। তাই আম্মুর একজন জীবনসঙ্গী দরকার। আম্মুর জন্য ভালো মনের একজন জীবনসঙ্গী খুঁজছি।’

মায়ের জন্য কেমন পাত্র চান, সেটা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘পাত্রের বয়স ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হলে ভালো হয়। পাত্রকে শিক্ষিত, ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যবসায়ী অথবা চাকরিজীবী হতে হবে। পাত্র যেন অবশ্যই ঢাকার মধ্যে বসবাস করে। কেউ আগ্রহী হলে আমাকে ইনবক্স করুন।’

ফারাহ জানান, এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি যোগাযোগ করেছেন, বায়োডাটা পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩-৪ জনকে মায়ের জন্য উপযুক্ত মনে হয়েছে। যাদের উপযুক্ত মনে হচ্ছে তাদের বায়োডাটা মাকে দিয়েছি। মা নিজেই তাদের সাথে কথা বলে দেখবেন।

এর আগে সম্প্রতি বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ অপূর্ব। গত শনিবার একই গ্রুপে মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে পোস্ট করেন তিনি। মায়ের জন্য অপূর্বর এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সেই পোস্ট দেখেই উৎসাহ পেয়েছেন ফারাহ।

পূর্বকোণ/এএস/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট