চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য : সিইসি

অনলাইন ডেস্ক

১৩ জুন, ২০২২ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা হলে আমরা পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করে দেবো, আমাদের সেই ক্ষমতা আছে”।

সোমবার (১৩ জুন) নির্বাচন ভবনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া খুব প্রয়োজন। যদি মূল বিরোধী দল নির্বাচনে না আসে, তাহলে নির্বাচন স্বচ্ছ-অস্বচ্ছ যাই হোক, সেটার গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক কমে যাবে। কারণ ডেমোক্রেসির মূল কথাই হচ্ছে পজিশন এবং অপজিশন।

তিনি আরও বলেন, উনাদের বলেছি, আপনারা যারা পলিটিক্স করেন না, পলিটিক্সের ঊর্ধ্বে একটা অবস্থান আপনাদের আছে। দলগুলো প্রতিদিন যে আক্রমণাত্মক কমেন্টগুলো দিচ্ছে, সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে যদি টেবিলে মুখোমুখি করা যায়, তাহলে আলোচনা হবে গঠনমূলক। টেবিলের বাইরে গিয়ে যদি ধারাবাহিকভাবে আক্রমণাত্মক বক্তব্য পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দেয়, তাহলে কিন্তু দুরত্ব কমবে না। কারণ আমরা চাচ্ছি নির্বাচনে সব পার্টি অংশগ্রহণ করুক।

সিইসি বলেন, সরকার হিসেবে যখন সরকার থাকবে, আমাদের জানা আছে আইনে আমাদের কী ক্ষমতা আছে, আমরা কিন্তু সে সহায়তা নিতে পারবো, সেটা হলো পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। নির্বাচনকে যদি সহিংসতার কারণে বিঘ্নিত হয়ে যায় আমাদের ক্ষমতা আছে যে কোনো একটি সেন্টার বা নির্বাচনটা বাতিল করে দেবো। আমরা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবো। বিরূপ পরিবেশ যাতে না হয়, আমরা চাইবো নির্বাচনে যাতে ভোটারা যেতে পারে এবং নির্বিঘ্নে যেন ভোট দিতে পারে, সেই খবরটা আমরা রাখবো। আর সহিংসতা যদি প্রচণ্ড রকম হয়ে যায়, তাহলে আমরা ক্ষমতা ও দায়িত্ব যেটা রয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করবো।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, টিআইবির প্রতিনিধি দলকে আমরা বলেছি, আইন কানুন যেটা আছে সরকার আমাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। সব নির্বাচনে আমরা সরকারের কাছে সহয়তাগুলো চাইবো এবং অবশ্যই সরকার সে সহযোগিতাগুলো করবে বলে আশা করি। সহায়তামূলত পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন কেন্দ্রিক আর ডিফেন্স মিনিস্ট্রি। অন্য কোনো মিনিস্ট্রি নিয়ে আমাদের মাথাঘামনোর কোনো দরকার নেই। জনপ্রশাসন যেহেতু জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে হেন্ডেল করে, তারপর পুলিশ প্রশাসনকে হেন্ডেল করে হোম মিনিস্ট্রি, আর সশস্ত্র বাহিনীকে যদি ইনভলব করা হয়, তাহলে ডিফেন্স মিনিস্ট্রি লাগবে। একই কথা বারবার বলেছি অসংখ্যবার, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হওয়া খুবই প্রয়োজন।

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট