চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১০৪ শিশুর পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

২ জুন, ২০২২ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ

১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে যথাক্রমে ৭৬ ও ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।

পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটাল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু এবং ২০০৯ সালে রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিবার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রায়ে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় মোট ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত বলেছেন, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এড়াতে পারে না।

এদিকে রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে ২৮ শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় ওষুধ কোম্পানিটির মালিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর পাঁচ জনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত।

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালত বলেছিলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মামলাটি করার ক্ষেত্রে ১৯৮০ সালের ড্রাগ আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি। মামলায় যথাযথভাবে আলামত জব্দ করা, তা রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো এবং রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসামিদের দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে ড্রাগ আইনের ২৩, ২৫ ধারা প্রতিপালন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবেক ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেন চরম অবহেলা, অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট