চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নর্থ সাউথের ৫ ট্রাস্টিসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০২২ | ১০:২৯ অপরাহ্ণ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ট্রাস্টিসহ ৬ জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

এর আগে, সোমবার (২৩ মে) নর্থ সাউথের চার ট্রাস্টিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি চার কার্যদিবস জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে আগাম জামিন আবেদন খারিজের পর গত ২২ মে রাত ১১টার পর হাইকোর্ট থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদেরকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার পাশাপাশি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে দুদক৷ অপরদিকে আসামিপক্ষে ডিভিশন চাওয়া হয়। ডিভিশনের বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরে নিজেরা এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধও করেন তারা।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট