চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক

১৭ মে, ২০২২ | ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

গ্রাহকের করা চেক ডিজওনারের মামলায় দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরের দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ।

মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এডমিন মো. হাসান।

ভুক্তভোগী গ্রাহক আহাদ বলেন, ‘ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল এর স্বাক্ষরিত ১৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকার দুটি চেক পান তিনি। চেক দুটি নগদায়নের জন্য ধামরাই উপজেলার কালামপুর শাখার ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ এ উপস্থাপন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট ক্লোজ/ব্লক উল্লেখ করে চেক দুটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফেরত দেন।

এ ঘটনায় ৩০ দিনের মধ্যে নগদ টাকা চেয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এডমিন মো. হাসানের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এতে কোনো উত্তর না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এ মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

তিনি বলেন, ‘আমি ঋণ নিয়ে ইভ্যালি থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল ক্রয় করি ১৪ লাখ টাকা দিয়ে। সেই মোটরসাইকেলের মূল্য ১৪ লাখ টাকা পরিশোধের ৪৫ দিনের মধ্যে আমাকে পাঁচটি মোটরসাইকেল দেয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। পরে মোটরসাইকেল নেই বলে পাঁচটি মোটরসাইকেল মূল্যের ২৫ লাখ টাকার চেক দেয় ইভ্যালি।’

এ বিষয়ে জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ বলেন, আসামিদের টাকা পরিশোধ করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো উত্তর তারা দেননি এবং টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপও নেননি। পরে মামলা হলে আদালত বিচার বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সাভারের বলিয়াপুর ইভ্যালির ওয়ার হাউজ থেকে পণ্য বের করে কর্মচারীরা তা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ইভ্যালির এই গ্রাহক।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট