চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়

সুপ্রতিম বড়ুয়া

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১১:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতাই মূল কথা। ভাষা একটি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আর এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

কাল মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য হলো- সকল মাতৃভাষাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া, যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া, বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা, দুর্বল বলে কোনো ভাষার ওপর প্রভুত্ব আরোপের অপচেষ্টা না করা, ছোট-বড় সব ভাষার প্রতি সমান মর্যাদা প্রদর্শন। এ দিবসে প্রত্যেক ভাষাভাষী মানুষ নিজের মাতৃভাষাকে যেমন ভালোবাসবে তেমনি অন্য জাতির মাতৃভাষাকেও মর্যাদা দেবে। এভাবে একুশকে চেতনায় ধারণ করে মাতৃভাষাকে ভালোবাসার প্রেরণা পাবে মানুষ।

বাঙালি জাতি নিজের রক্ত দিয়ে সারা বিশ্বকে শিখিয়েছে ভাষাকে ভালোবাসার মন্ত্র। মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসা, তার জীবনাচারকে ভালোবাসা আর এর জন্য গর্ববোধ করা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সবস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়। বিভিন্ন সরকারের আমলে আইনও প্রণয়ন করা হয়। আইনের প্রয়োগ না থাকা অথবা মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞার কারণে দেশের বেশির ভাগ স্তরেই বাংলাবিমুখতা প্রকট আকার ধারণ করে। এর প্রেক্ষিতে সব জায়গায় বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট থেকে রুলসহ দুটি আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরও সব জায়গায় বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রভাষা বাংলা একদিন অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই ভাষার সম্মান ও মর্যাদা অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন ভাষাবিদরা। তারা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যে দাবি ছিল তা আজও পূরণ হয়নি। শুধু কাগজে কলমে রাষ্ট্রভাষা বাংলা। কিন্তু সব জায়গায় ইংরেজিসহ বিদেশি ভাষার দাপট। এ অবস্থা চলতে থাকলে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি বিলীন হয়ে যেতে পারে। ভাষা শহীদের চাওয়া এখনও পূরণ হয়নি। তথ্যমতে, ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ প্রয়োগ করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ’ এবং বাংলা একাডেমি ‘প্রমিত বানানরীতি’ প্রণয়ন করে। কিন্তু জাতীয় ভাষানীতি না থাকায় বানানে সমতা আনা যাচ্ছে না।

সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার অনেক প্রতিষ্ঠান প্রমিত বানানরীতি অনুসরণ করছে না। এ ভাষানীতির অভাবেই বিভিন্ন সরকারের আমলে সব জায়গায় বাংলা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকর হয়নি। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ যাতে বৃথা না যায় সেদিকে দৃষ্টি রেখেই সব জায়গায় বাংলার ব্যবহার চালু করতে হবে। প্রথমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে অন্যরাও এতে উৎসাহিত হয়। শহিদ ভাষা সৈনিকদের উত্তরসূরি হিসেবে গোটা জাতির দায়িত্ব হচ্ছে মাতৃভাষাকে রক্ষা করা। এত বছর পরও সমাজ ও রাষ্ট্রের সব জায়গায় বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে ক্ষমতায় থাকা সরকারগুলোর সদিচ্ছার অভাব ছিল বলে মনে করছেন তারা। বাংলা বিশ্বের ২৫ কোটির বেশি মানুষের মাতৃভাষা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা ও সরকারি ভাষা। এক কালের ‘ভাবের ভাষা’ একালের কাজের ভাষাও বটে।

বাংলাদেশের সরকারি অফিস-আদালত, বেসরকারি অফিস, জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার কেন্দ্রসমূহ, সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় ও সমাজ জীবনের বিভিন্ন স্তরে বাংলা ভাষা বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, মননজীবী সকলে তাদের ধ্যান-ধারণায়, চিন্তা-চেতনায় ও কর্মজীবনে নানাভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করছেন। এটা অত্যন্ত আনন্দ, সুখ ও গর্বের বিষয়। কেননা ভাষা স্থবির নয় বরং জঙ্গম। তা প্রবহমান নদীর মতো দু’কূল ছাপিয়ে চলে উদ্দাম গতিতে। পথে নানা স্থান হতে সংগৃহীত হয় নানা উপকরণ যা ভাষাকে সতত সমৃদ্ধ করে চলে। তাই ভাষার বহুমাত্রিক ও কলেবর ক্রমাগত বেড়েই চলে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, কালের পর কাল। যুগ যুগ ধরে ভাষা সমৃদ্ধশালী হয়। পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয় নতুন আঙ্গিক ও অবয়বে।বাংলা অনেক সমৃদ্ধ ভাষা। এর শব্দভান্ডার বিপুল। রয়েছে নানা বৈচিত্র্য এবং মাধুর্য। শিক্ষিত সমাজ, শিক্ষকদের এবং গণমাধ্যমের জন্য একটি প্রমিত বাংলা ভাষা দরকার।

শিক্ষকরা যদি নিজেই ভালো বাংলা না বলতে পারেন তাহলে শিক্ষার্থীদের শেখার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের গ্রামে এবং শহরে মাধ্যমিক এবং প্রাথমিকপর্যায়ে বাংলা পড়ানোর মতো ভালো শিক্ষকের সংকট আছে। এটি একটি বড় সমস্যা। এক সময়ে স্কুলে পন্ডিত মশাইরা ছিলেন যারা বাংলা পড়াতেন। শব্দের উৎপত্তি, বাংলা ব্যাকরণে তাদের ভালো দখল ছিল। নানা কারণে সেই পন্ডিত মশাইদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন। এসব শিক্ষক অত্যন্ত অধ্যবসায়ী ছিলেন। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জোর দিয়েছি তা ভালো কথা, তবে ভাষার দিকে খেয়াল কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এতে আমরা না পারছি ভালো বাংলা বা ইংরেজি শিখতে এবং বলতে। আমরা এখন দাবি করছি জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা। সেজন্য যদি পরিভাষা তৈরি করতে না পারা যায়, তাহলে আমরা সমস্যায় পড়ব। এ জন্য আইন, বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের পরিভাষা তৈরি করতে হবে। কারণ জাতিসংঘ নানা আইন প্রণয়ন করে থাকে।

বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আগে আমাদের উচিত হবে বাংলাকে আরও সমৃদ্ধ করা। সব জায়গায় বাংলা ভাষা ব্যবহার নিশ্চিত করার আগে জরুরি হলো আমরা শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে এবং লিখতে পারি কি না তা যাচাই করা। যারা বাংলায় লেখালেখি করেন তারা অবগত আছেন ব্যাকরণ সম্মতভাবে বাংলাবাক্য তৈরি করা এবং শুদ্ধ বানানে বাংলা শব্দ লিখা কতটা কঠিন। প্রথমত, আমাদের কতকগুলো বিষয় আইনগত বাধ্যবাধকতার ভেতর নিয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। মাঝে মাঝে ইংরেজি বলতে এবং লিখতে পারা মানে বড় কিছু হয়ে হয়ে যাওয়া এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসা খুবই জরুরি।

আর একটি বিষয় হলো, বিশ্বায়নের যুগে আমাদের শিল্প-সাহিত্যচর্চা। এই বিষয় এখন সারা বিশ্বে আদান-প্রদান হচ্ছে। এক দেশের সাহিত্য অন্য দেশে অনূদিত হচ্ছে এবং প্রভাব পড়ছে। বিশ্ব শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, স্থাপত্য জানতে হলেও আমাদের বাংলা ভাষার দুয়ার খুলতে হবে। পৃথিবীর সেরা সাহিত্যগুলো কিন্তু ইংরেজি ভাষায় নয়। আমাদের অনুবাদ সাহিত্য আরও বাড়াতে হবে। কালজয়ী বইগুলো বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। আমাদের মনোজগতে ইংরেজি নিয়ে একটি ঔপনিবেশিকতা তৈরি হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন নেই কিন্তু তাদের চিহ্ন থেকে আমরা বের হতে পারিনি। আমরা চাচ্ছি সব জায়গায় বাংলা চালু হোক, বাংলা ভাষা যথাযথ মর্যাদা পাক কিন্তু এই ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকে বের হতে না পারলে তা সম্ভব হবে না।আমরা খাদ্যদূষণ, ফরমালিন, ভেজাল তেল, দুধে পানি মেশানোসহ ভোগ্যপণ্যের বিষয়ে খুবই সচেতন। কিন্তু আমাদের ভাষা যে দূষণের কবলে সে বিষয়ে আমরা কথা বলি না। বর্তমানে এফএম রেডিওতে ভাষার কী পরিমাণ দূষণ হয়েছে তা বর্ণনাতীত। বাংলা ভাষার ঐতিহ্য হারিয়ে আমরা জগাখিচুড়ির মতো অবস্থায় উপনীত হয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে শব্দ নিয়ে আমরা যে ভাষা তৈরি করছি তা আমাদের আত্মমর্যাদার জন্য অসম্মানজনক। বাংলা ভাষায় কিছু বিদেশি শব্দ রয়েছে যেগুলো আমরা বাংলা হিসেবেই গ্রহণ করেছি, বা আত্মীকরণ করেছি।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির চরম আত্মোৎসর্গের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের মানুষ অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছে বাংলা ভাষাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার এক মহান ব্রতে। এই ভাষার দাবি কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল স্বাধিকারের আন্দোলন। এরই প্রেক্ষাপটে পরিচালিত হলো সশস্ত্র সংগ্রাম; অর্জিত হলো আমাদের মহান স্বাধীনতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বপরিন্ডলের প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম কখনও থেমে ছিল না। অবশেষে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো কানাডাপ্রবাসী বাঙালি তরুণদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে একুশের চেতনা ধারণ করে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এরপর ২০০০ সালে ১৬ মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে মাতৃভাষাকে যথাযথ মর্যাদাসহকারে বিশ্বের প্রতিটি দেশ উদযাপন করবে। উল্লেখ করা হয় বিশ্বব্যাপী সব মানুষের ভাষার সুরক্ষা এবং উপস্থাপনার সুযোগ সৃষ্টি করাই হবে লক্ষ্য। এ হচ্ছে ভাষাপ্রেমিক বাঙালি জাতির বিশাল অর্জন।

আজকাল অনেকেই মনে করেন ইংরেজি জানা লোকেরা হয়তোবা বাংলা ভাষার প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন। এটা কোনো প্রতিষ্ঠিত যুক্তিনির্ভর কথা নয়। কেননা যারা মাতৃভাষা বা বাংলা ভাষায় সঠিক প্রয়োগ ও ব্যবহার জানেন না, তারা অন্য কোনো ভাষায় দক্ষতা বা পান্ডিত্য অর্জন করেছেন এ কথা বলা যাবে না। প্রথমেই মাতৃভাষার শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে সে অন্য কোনো ভাষায় দক্ষ হতে পারেন। সুতরাং, বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ, সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ এবং সঠিক বানানরীতির ওপর বাঙালি হিসেবে সকল বাঙালিকে অপরিহার্যভাবে যত্নবান হতে হবে। তাহলেই আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা একদিন আন্তর্জাতিক ভাষার মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হবে।

আজকের দিনে যে ইংরেজি ভাষা পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র ও জাতিতে স্থান করে নিয়েছে বা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে-সময়ের পরিসরে হয়তো আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলাও পৃথিবীর সকল জাতি ও রাষ্ট্রের মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় ভাষা হিসেবে পৌঁছে যাবে এবং চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। ক্রমে ক্রমে তা আন্তর্জাতিকতার মহীরুহে পরিণত হয়ে যথার্থ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে। সব জায়গায় বাংলা ভাষার প্রচলনকে গুরুত্ব দিয়েই ভাষা বিকাশের ধারাকে উজ্জীবিত রাখতে হবে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলার বিকাশ সাধনে গবেষণা, অনুবাদ, পরিভাষা, শুদ্ধ ভাষার কথন ও উচ্চারণ, প্রমিত বাংলা বানানরীতি, ভাষানীতি ইত্যাদি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাতৃভাষা বাংলার বিকশিত রূপই একদিন তাকে জাতিসংঘের ব্যবহারিক ভাষার দাবিতে পরিণত করবে এবং বাংলা হবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা। আর এভাবেই বাংলা ভাষা বিশ্বায়নের ওপরে এক গভীর ও সুবিশাল প্রভাব বলয় তৈরি করবে।

আন্তর্জাতিক ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরও মুখরিত করে তুলবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের তাদের স্ব স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ভাষার ওপর কোনো ঔপনিবেশিক চাপ, চক্রান্ত ও ভাষাদূষণের মতো ন্যক্কারজনক কাজকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার জন্য ভাষাপ্রেমিক সকল মানুষের প্রতি আহ্বান রইল।

লেখক: সুপ্রতিম বড়ুয়া সহকারী অধ্যাপক, গণিত বিভাগ, রামু সরকারী কলেজ

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট