চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঈদের আগেই খালেদা মুক্তি পাচ্ছেন ?

শিবুকান্তি দাশ হ ঢাকা অফিস

২৪ জুলাই, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরণের আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে। কিন্তু কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় তা কেউ স্পষ্ট করছে না। তবে ‘সব সম্ভবের বাংলাদেশে’ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও যেকোনো উপায়ে সম্ভব হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। একটি সূত্র বলেছে, সরকারের সাথে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের পর্দার আড়ালে যোগাযোগ ঘটেছে। সরকারের আশ্বাসে বিএনপি হঠাৎ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে মাঠ গরম করতে কর্মসূচি দিয়েছে। সরকার সে কর্মসূচিগুলোতে আগের মতো বাধাও দিচ্ছে না। তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দের আশা- যেহেতু খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক রেখেছে, সরকারই তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য। দেশের জনগণকে জিম্মি করে কোনো সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বর্তমান সরকারও পারবে না। তাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে খালেদা জিয়াকে মু্িক্ত দিয়ে দেশের গনতন্ত্রকে সুসংহত করবে। প্রসঙ্গত গত এপ্রিলে খালেদা জিয়া কারাগারে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন তার চিকিৎসা করার পর

আবারও কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারেই আছেন। মেডিকেলে আনার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ জোরের সাথে আলোচনা চলে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাবে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্জ্জুামান কামাল বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার প্যারেলে মুক্তির জন্য আবেদন করলে তা বিবেচনা করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আইনে খালেদা জিয়া যা যা সুযোগ পাবেন তা দেয়া হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছেন র্দুনীতির দায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে। একজন সাজা প্রাপ্ত আসামীর যা যা আইনি সুযোগ প্রাপ্য তিনি সব পাবেন।
এদিকে অন্য একটি অসমর্থিত সূত্র বলেছে, তারেক রহমানের সাথে সরকারের উচ্চ পযায়ের সাথে কথা হয়েছে। বিএনপির এমপিরা সংসদে যোগ দিলে খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়টি সহজ হবে। সরকার তার জামিনে বিরোধিতা করবে না। যে কারনে তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি সংসদে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর তখন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। এবং তারেক রহমানের এ সিদ্ধান্তকে সঠিক বলেও মন্তব্য করেন।
সূত্র বলেছে, তারই সূত্র ধরেই সম্প্রতি বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে তৎপর হয়ে উঠেছে। গত ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে রবিশালও চট্ট্রগ্রামে সফল ভাবে সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশের অুনমতিতে পুলিশ শর্ত বেধে দিলেও কোন ধরনের বাধার সৃষ্টি করেনি। আগামী ২৫ জুলাই খুলনা বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুুতি নিচ্ছে দলটি।
এ প্রসঙ্গে গতরাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমীর খসড়– মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পূর্বকোণ কে জানান, ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক রেখেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে কোন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি বর্তমান সরকারও পারবে না। তিনি বলেন,দেশের জনগন চাচ্ছে খালেদা জিয়াকে সরকার মু্িক্ত দিক।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের সাথে কি যোগাযোগ হয়েছেন বিএনপির, এমন প্রশ্নে আমীর খুসড়ু বলেন,সরকারের সাথে কেন যোগাযোগ করব। জনগনের আন্দোলনেই সরকার বাধ্য হবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে। তিনি বলেন, সরকার ঈদের আগে যদি মুক্তি না দেয় আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট