ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ২ জনকে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
সোমবার রাতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে নায়িকা শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, আমার বোন জামাই নোবেলই প্রথম আসামি। তার ড্রাইভার এবং বন্ধু ফরহাদ তাকে এ বিষয়ে সাহায্য করেছে। তাদের রক্তমাখা গাড়িটিও উদ্ধার করেছে র্যাব।
বোন জামাইকে সন্দেহের কারণ জানতে চাইলে খোকন বলেন, তার গাড়িতে রক্ত ছিল, তারা রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ছিল না, এ সময়ের মধ্যেই লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পাশে থাকা জায়েদ খান বলেন, ড্রাইভারকে ধরার পরে সে সব বলেছে।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। তিনি নিখোঁজ জানিয়ে সোমবার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্বামী নোবেল। এদিকে সোমবার সকালে কদমতলী এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাখা হয়েছে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে। রবিবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
পূর্বকোণ/পিআর