চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সাকিব আল হাসানের পিপলস ব্যাংক, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার

১৮ জানুয়ারি, ২০২২ | ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

শুরুটা ক্রিকেট দিয়ে হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘বরপুত্র’ সাকিব আল হাসান তার জীবনকে কেবল ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। করপোরেট জগতে পদচারণা বেশ আগে থেকেই। সম্প্রতি জানা যায়, ব্যাংকিং খাতেও যুক্ত হচ্ছেন তিনি। পিপলস ব্যাংকের পরিচালক পদে আবেদন করেছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার এবং তার মা শিরিন আক্তার।
চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’ এর অনুকূলে ইস্যু করা লেটার অব ইনটেন্ডের (এলওআই) শর্ত পূরণের সময় শেষ হয়ে গেছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের আগামী পর্ষদ সভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে।

বৃহস্পতিবারের (২০ জানুয়ারি) ওই সভায় ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পরিচালকরা সম্মত হলে এলওআইর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের এলওআই’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত ব্যাংকটি আবেদনও করেছে। তবে পর্ষদের সিদ্ধান্ত নিয়েই মেয়াদ বাড়াতে হবে। তাছাড়া সাকিব ও তার মায়ের পরিচালক হওয়ার বিষয়টিও একই সঙ্গে বিবেচনাধীন রয়েছে।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক হওয়ার একটি নিয়মনীতি রয়েছে। সাকিব আল হাসান যদি সব শর্ত পূরণ করে পরিচালক হতে চান তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। তবে সে তারকা ক্রিকেটার বলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং ব্যবসার জন্য লাইসেন্স নিতে চেষ্টা করছে। তবে এলওআইর শর্ত পূরণ না হওয়ায় এই লাইসেন্স পাচ্ছিল না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কয়েক দফা এলওআইর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ এলওআইর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর আগেই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন পূরণের জন্য সাকিল আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে প্রস্তাবিত ব্যাংকটি।

গত ডিসেম্বরে প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আক্তারকে পরিচালক করার জন্য নথিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়। এ বিষয়ে অনাপত্তির আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় রয়েছে। সাকিব ও তার মায়ের বিনিয়োগ করতে হবে ২০ কোটি টাকা। তবে ২৫ কোটি টাকার মতো মূলধন দিচ্ছেন সাকিব। এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার এ বছরের প্রথম পর্ষদ সভা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সভায় প্রস্তাবিত এই ব্যাংকের এলওআইর মেয়াদ বাড়ানোসহ আরও বেশ কিছু বিষয় আলোচনার জন্য তোলা হবে।

গত ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করেন সাকিব আল হাসান। ওই সময় পিপলস ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেনস ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চলতি বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। আর চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিজেনস ব্যাংক। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অনিশ্চয়তায় রয়েছে পিপলস ব্যাংক।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট