চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ট্রাম্পের কাছে দেয়া বক্তব্যের অদ্ভুত ব্যাখ্যা ইউটিউব চ্যানেলে

প্রিয়া সাহা ইস্যুতে ‘ধীরে চলো নীতি’ সরকারের

শিবুকান্তি দাশ , ঢাকা অফিস

২২ জুলাই, ২০১৯ | ১:৫১ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশ প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয়া বালা বিশ্বাসের বক্তব্যে সরকার বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। তবে তার বিরুদ্ধে এখনই আইনি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ধীর নীতি অবলম্বন করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্য না শুনে কোনো ব্যবস্থা না নিতে। যে কারণে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা গতকাল আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তবে তার সম্পর্কে আইন শৃংখলা বাহিনী খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে।
এদিকে প্রিয়া সাহা তার বেসরকারি সংস্থা ‘শারি’র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক বার্তায় ট্রাম্পের কাছে দেয়া বক্তব্যের একটি অদ্ভুত ব্যাখা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী এখন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ১ কোটি ৮০ লাখ। তার মানে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছেন। ১৯৪৭ সালের পর এখন যে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী রয়েছে, তার সঙ্গে হিসাব মেলালেই আপনারা বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চেয়েছি।’ গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. আবুল বারকাতের গবেষণার উদাহরণ দিয়ে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি এক সময় তার (আবুল বারকাত) সঙ্গে কাজ করেছি। আবুল বারকাত বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই গবেষণা থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি।’ প্রিয়া সাহা বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, সেটা সকলেই জানেন। আর আমার নিজ গ্রামে ২০০৪ সালে ৪০টি হিন্দু পরিবার থাকলেও এখন সেই সংখ্যা মাত্র ১৩টি।’
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চলছে বলে যে মিথ্যা অভিযোগ প্রিয়া সাহা করেছেন, সে ব্যাপারে তার ব্যাখ্যা না শুনে এখনই কোনো মামলা সরকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনই নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কাদের। তিনি গতকাল রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাস্তবায়নাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে বক্তৃতা করছিলেন সেতুমন্ত্রী।
ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটা মেসেজ দিয়েছেন, তা হলো প্রিয়া সাহার আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা করা যাবে না। সকালে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী (আ ক ম মোজাম্মেল হক) মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আমি তাকে প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ জানিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া প্রিয়া সাহার গ্রামের বাড়ির সবকিছু যেন নিরাপদে থাকে সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
সরকারের এমন অবস্থান হলেও প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। রাষ্ট্র না চাইলে কেউ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে পারে না। মামলা দু’টিও গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রিয়া সাহার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়া সাহা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সেনসিটিভ বিষয়। তিনি কেনই বা এমন বক্তব্য দিলেন, আগে তার বক্তব্য শুনবো; এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ট্রাম্পের নিকট কেন এমন বক্তব্য দিলেন তা জানতে চাইবো। তার আসল উদ্দেশ্য কী ছিলো এ বিষয়ে জানতে চাইবো। আমার বিশ্বাস তিনি স্বদেশে দ্রুতই ফিরে আসবেন।
প্রিয়া সাহার বক্তব্যের আড়ালে কোনো ষড়যন্ত্র চলছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাইনি। প্রিয়া সাহা আগে দেশে ফিরে আসুন, এরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকাল সচিবালয়ে সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রী এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে ধীরস্থির থেকে বলেছেন, প্রিয়া সাহা দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। তার কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। তিনি দেশে ফিরলে কী কারণে এ কথা বলেছেন তা বলা যাবে। তবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশে সরকারের মন্ত্রীরা ধীর নীতি অবলম্বন করলেও প্রিয়া সাহা ও তার চার পুরুষ সম্পর্কে গ্রাম ও শহরে ঝড়োগতিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রিয়া সাহা কে, তাঁর পৈতৃক ও বৈবাহিক সূত্রে নাম-পরিচয়, তার এনজিও, স্বামীর চাকরি, সন্তানরা কে কোথায় রয়েছেন, সম্প্রতি আমেরিকা সফরের আগে-পরে কাদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে এমন দেশদ্রোহী বক্তব্যের নেপথ্যে আমেরিকা ও বাংলাদেশে অবস্থানকারী প্রভাবশালী কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তির ইন্ধন রয়েছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকায় পাড়ি জমানো সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কোনো ধরনের ইন্ধন রয়েছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সচিবালয়ে রোববার একাধিক মন্ত্রীর বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গণপূর্ত ও গৃহায়নমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম জানান, প্রিয়া বালা সাহা তার নির্বাচনী এলাকার হলেও তার সেখানে কোনো ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি নেই। তিনি বলেন, ওই এলাকায় হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে।
এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে তার দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রচলিত আইন অনুসারে স্বামীর অপরাধে স্ত্রী বা স্ত্রীর অপরাধে স্বামী অভিযুক্ত হন না। কিন্তু দেশবিরোধী কথাবার্তা কেউ বললে সে সম্পর্কে স্বামী বা স্ত্রীকে প্রশ্নের মুখোমুখি স্বাভাবিকভাবেই হতে হয়।’
প্রিয়া বালা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি ভিসা নিয়ে সে দেশে গেছেন, নিশ্চয় তিনি ফিরে আসবেন এবং সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অসত্য অভিযোগ প্রিয়া সাহা করেছেন, সেজন্য তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়
গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মতামত দেন। ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে’ এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রিয়া সাহার নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তার বক্তব্য দেশের শুভবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। দেশের সব মানুষ এই অপকর্মের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও নিন্দা করছে। এখন দেখার বিষয় প্রিয়া সাহাকে শিখ-ি বানিয়ে কোনো দুষ্টচক্র যেন ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে না পারে। পাশাপাশি আমরা মনে করি, দেশের চলমান ধারায় তার বিচার হওয়া উচিত।
রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলাই খারিজ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য নালিশ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার অভিযোগে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর আগে রবিবার একই অভিযোগে করা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পেনাল কোডের ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার সুমন আদালতে আবেদন করেন। আদালত রবিবার সকালে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর তা আদেশের জন্য রাখেন। দুপুরে তা খারিজ করে দেন।
অন্যদিকে, একই অভিযোগে ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম খলিল তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে দ-বিধি ১২৪ (ক) ধারায় তিনি মামলাটি করেন। ইব্রাহীম খলিল পেনাল কোডের ১২৪ (এ) ধারা অনুযায়ী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। বিকেলের দিকে এ মামলাটিও খারিজ করে দেয় আদালত।
প্রিয়া সাহার কল রেকর্ড-ট্রাভেল হিস্ট্রি যাচাই
সংখ্যালঘুদের নিয়ে কোন উদ্দেশ্য বা স্বার্থে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী বাংলাদেশি নারী প্রিয়া সাহার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে তার সহকর্মীসহ কার কার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। এতে দেশি-বিদেশি কারও ইন্ধন আছে কি-না, সেটিও খতিয়ে দেখছে তারা। সেই তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, প্রিয়া সাহার মোবাইলের কল হিস্ট্রি যাচাই করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে তার কল ডিটেইলড রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া তিনি সর্বশেষ কোন কোন দেশে, কী কারণে গিয়েছেন- সেসব তথ্যও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র আরও জানায়, ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার নালিশ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এতে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গুরুত্ববহন করছে। এ কারণে তার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করছেন তারা।
সূত্র আরো জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগের কয়েক দিন প্রিয়া সাহা কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতার সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তবে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, সাংগঠনিকভাবে প্রিয়াকে এ ধরনের কোনো কথা বলতে বলা হয়নি।
দুদকে কর্মরত প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা ও তার পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব আলোচনা থেকে কোনো চক্রের ইন্ধনে প্রিয়া সাহা এ কাজ করেছেন কি-না, সেই সূত্র খুঁজছে পুলিশ। প্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগে আর কোন কোন দেশে, কী উদ্দেশ্যে গিয়েছেন, সেখানে কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন- এসব বিষয়ে তার পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রিয়া সাহা যে নালিশ করেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সব বক্তব্য, তথ্য-প্রমাণ তদন্তসাপেক্ষে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট