চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট : জানার বাকি অনেক কিছু

৩০ নভেম্বর, ২০২১ | ২:১৮ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বব্যাপী শংকার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন, মারাত্মক কোন নতুন ঢেউ কি আবার আসবে? অনেক দেশ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিয়েন্টকে variant of concern বা আশঙ্কার ভ্যারিয়েন্ট নামে অভিহিত করেছে। ডেল্টাসহ এটা পঞ্চম ভ্যারিয়েন্ট যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই নামে অভিহিত করেছে। আশঙ্কার মূল কারণ হল এই ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলো মিউটেশন হয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের সহায়তায় করোনাভাইরাস মানুষের শিরের কোষে প্রবেশ করে। এই ক্ষেত্রে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে।

এই ভ্যারিয়েন্ট কি বেশি সংক্রামক, বিশেষ করে ডেল্টার চেয়ে বেশি? এর সঠিক উত্তর এখনো জানা যায়নি। ২. এই ভ্যারিয়েন্ট কি গুরুতর অসুখ করে? এর সঠিক উত্তর এখনো জানা যায়নি। ৩. বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো কি এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে? দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে মনে হচ্ছে যারা দুই ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে তাদের মধ্যে ইনফেকশন অনেক কম হচ্ছে। ৪. যাদের একবার ইনফেকশন হয়েছে তারা কি এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষা পাবে? এর সঠিক উত্তর এখনো জানা যায়নি। ৫. অন্যান্য ওষুধ এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কি কার্যকর হবে বা কতোটা কার্যকর হবে? উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে অন্তত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।

আলোচ্য প্রশ্নগুলো মনে উঁকি দেয়ার পাশাপাশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে করণীয় কী, সে বিষয়েও অনেকের জিজ্ঞাসা থাকতে পারে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওমিক্রনের সংক্রমণ মোকাবেলায় অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গতকাল সোমবার ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এসব পদক্ষেপ কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এরমধ্যে সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। আক্রান্ত দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মাস্ক পরে বাইরে বেরুনোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, গণপরিবহন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা, দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করা, সকল ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক কিংবা আরও কম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট