চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘সরকারের অপকর্ম আড়াল করতে এই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টি’

অনলাইন ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০২১ | ৫:৪২ অপরাহ্ণ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে, দুর্নীতি, লুটপাটসহ সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম আড়াল করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সরকার এই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমার নেত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এদেশে তিনবার রোজা এবং পূজা একসঙ্গে পালন হয়েছে। তখন তো কোনো দাঙ্গা হয়নি।একে অপরের ধর্মকে আমরা মেনে নিয়েছি। আসল কথা- সরকার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করছে এই দেশ একটি সন্ত্রাসী দেশ। এদেশে বিদেশি সাহায্য দরকার। আসলেই কি তা? না।

তিনি বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ।আমাদের বিশ্বজুড়ে সুনাম আছে। বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হলেও তারা কখনো সেটা অনুভব করেনি। আমার সঙ্গে বহু ক্লাসফ্রেন্ড ছিল যারা এখন মারা গেছেন।পূজা-পার্বন একসঙ্গে পালন করেছি। আমরা তো পূজা করতে পারি না। তবে তাদের উৎসাহ দিতাম।

তিনি বলেন, আমার এলাকায় ২৫ ভাগ হিন্দু ভোটার বসবাস করে। কেউ বলতে পারবে না যে এই এলাকায় কোনোদিন দাঙ্গা হয়েছে। যখন বাবরি মসজিদ ভাঙে আমি মির্জা আব্বাস নিজে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে তাদের পাহারা দিয়েছি।

বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা আরও বলেন, এই হাঙ্গামার অনেকগুলো কারণ আছে। যদি হিন্দুরা চলে যায় সেই সম্পত্তি আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করবে। আর যদি তারা থেকে যায়, মিথ্যাচার করে সেই ভোটটা তারা (আওয়ামী লীগ) পাবে। কিন্তু হিন্দু ভোটাররা সেটা করেন না। তা করলে হিন্দু ভাই-বোনদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হতাম না।

তিনি বলেন, আমার নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখন ক্ষমতায় থাকলে দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হতো না। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় পেঁয়াজ, তেল, লবণ সবকিছুর ঊর্ধ্বগতি। ভুতুড়ে পানির বিল, ভুতুড়ে গ্যাস বিল। এই সরকার বাংলাদেশে লুটপাটের একটা কারখানা খুলে বসেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজকে ক্ষমতায় থাকলে এ লুটপাট বন্ধ হয়ে যেত।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে বাকশালের পেট চিরে আওয়ামী লীগের জন্ম দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়েছিল বিএনপি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আপনাদেরকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। অথচ সেই সুযোগটাকে অপব্যবহার করে আজকের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আপনারা কারাগারে আটকে রেখেছেন। তাকে চিকিৎসার সুযোগটাও দেওয়া হচ্ছে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এসএস জিলানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট