চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুদামেই পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ, হিলিতে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি

অনলাইন ডেস্ক

১৪ অক্টোবর, ২০২১ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। অনেক আমদানিকারকদের । তবে আমদানিকারকরা বলছেন- দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান- আমদানীকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম না কমানোয় তারা পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে হিলি বন্দরের আমদানিককারকদের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গুদামে প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে পচে যাচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে এ সময় গুদামগুলোতে কোনো পেঁয়াজের ক্রেতা দেখা যায় নি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব গুদামে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ নিতে আসা ক্রেতারা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‌‘ভারত থেকে অনেক পেঁয়াজ এনেছি। সেগুলো বন্দরের গুদামেই পচছে, বিক্রি করতে পারছি না। তিন-চারদিন ধরে পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপাকে আছি। নষ্ট হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ মাত্র ৫-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

শুধু মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নয়, হিলি স্থলবন্দরের অধিকাংশ আমদানিকারকের গলার কাঁটা এখন ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ। বেশি দামে আমদানি করলেও হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রচণ্ড গরমে গুদামেই পচছে ভারতীয় পেঁয়াজ।

জানা গেছে, গেল তিন সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে দাম বাড়ায় আমদানিকারকরা লাভের আশায় ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ কেনেন। কিন্তু এলসি করে পেঁয়াজ দেশে আনার আগেই কমে গেছে দাম। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করায় ভারতীয় পেঁয়াজের ক্রেতাও কমছে।

ফলে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাতেই বিপাকে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। ‘স্পষ্ট’ লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা।

আমদানিকারকরা বলছেন, এলসি করে ভারত থেকে আনা পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম পড়েছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সেই পেঁয়াজের দাম হাঁকছেন এখন কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। এ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে। ফলে দাম বাড়ার আশায় বন্দরের গুদামেই পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন তারা।

তবে প্রচণ্ড গরমে গুদামেই পচছে পেঁয়াজ। গত তিন-চারদিন ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে গুদামগুলোতে পাইকারি ক্রেতাদের আনাগোনাও কমেছে। ফলে পচতে শুরু করা পেঁয়াজের দাম ‘সকাল-বিকেল’ আরও কমছে। আগের দিন যে পেঁয়াজের দাম ৪৫-৪৬ টাকা হাঁকা হচ্ছে, পরদিন তা ৩০-৩২ টাকা দরে গিয়ে ঠেকছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত রবিবার (১০ অক্টোবর) ৪২ ট্রাক পেঁয়াজ হিলি বন্দরে আমদানি হয়েছে। চাহিদা তুলনায় আমদানি বেশি এবং দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় বন্দরে ক্রেতা কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক আমদানিকারক।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট