চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

হাইকোর্টে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

দুদকের ভুলে জাহালম হয়ে যায় আবু সালেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ জুলাই, ২০১৯ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ

প্রায় তিন বছর জেল খাটার পর ছাড়া পেলেন পাটকলশ্রমিক জাহালম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুলে জাহালমকে আবু সালেক হিসেবে শনাক্ত করার এ ঘটনাটি ঘটে। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুল পথে চালিত করতে ভূমিকা রেখেছেন ব্র্যাক ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তারা এবং একাউন্টের (ব্যাংক হিসাব) ভুয়া ব্যক্তিকে পরিচয় দানকারীরা। জাহালমের বিনা অপরাধে জেল খাটার ঘটনায় দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।
প্রতিবেদন দাখিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হলো সঠিক ঘটনা তথা সত্য উদ্‌ঘাটন করে আদালতের কাছে উপস্থাপন করা। এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তা বা অন্য কারও ওপর এই দায়িত্ব অর্পণের কোনো সুযোগ নেই।
দুদকের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী মঙ্গলবার বেলা দুইটায় শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।



আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
গত ২৭ জুন আদালত জাহালমের ঘটনায় দুদকের দায় আছে কি না, তা নির্ণয় করে গঠিত কমিটিকে ১১ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন আবু সালেক নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু দুদক সালেকের স্থলে জাহালমকে জেলে ঢুকিয়ে দেয়। প্রতিবেদনটি সেদিন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তি দিতে আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দিলে প্রায় তিন বছর পর সেদিন মুক্তি পান জাহালম।

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট