চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

অক্টোবর থেকে আবারও ব্যাপক পরিসরে টিকাদান শুরু

অনলাইন ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ৪:৩১ অপরাহ্ণ

অক্টোবর মাস থেকে আবারও গণপরিসরে টিকা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনায় আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

তিনি বলেন, গণহারে শুরু হতে যাওয়া এই টিকা কর্মসূচিকে আমরা গণটিকা বলছি না। তবে ব্যাপক আকারে আমরা এই টিকা দেব।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, দুই/চার দিনের মধ্যেই আমরা জানাতে পারব কবে থেকে এই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারব। নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে পারছি না। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তো এখন ক্লাস শুরু হয়েছে। আপনারা জানেন, স্কুলগুলোতে আমরা একসঙ্গে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পারতাম। এখন আমাদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা করেই এরপর কাজ শুরু করতে হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিকল্প বড় জায়গা খুঁজতে শুরু করেছি। সারাদেশেই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কোন উপজেলায় বড় অডিটোরিয়াম আছে, কোথায় খোলা জায়গা আছে, আমরা খুঁজতে শুরু করেছি। আশা করছি ২/৩ দিনের মধ্যেই আমরা টিকা কেন্দ্র নির্ধারণ করতে পারব।

সারাদেশে এবারও সিনোফার্মের টিকাই দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য মহাপরিচালক। এক্ষেত্রে আগে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া হলেও এবার সেগুলোতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হতে পারে।

এর আগে রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ আছে এবং আমরা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একটি টিকা দেওয়াসহ প্রায় দু’কোটি টিকা দেওয়ার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচিকে আরও কীভাবে সম্প্রসারিত করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।

স্পট রেজিস্ট্রেশনে ষাটোর্ধ্বদের টিকা প্রয়োগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

খুরশীদ আলম বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা গোষ্ঠী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এটা মাথায় রেখেই আমরা নতুন টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা টিকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখব যারা বয়স্ক তারা যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই টিকা পান।

তবে, গত ৭ আগস্ট দেশে করোনা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে টিকার ক্যাম্পেইন করা হয়েছিল। সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল এক সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেওয়ার। টিকার মজুত সীমিত থাকার কারণে সে সময় তা সম্ভব হয়নি।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট