চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাসপাতালে ৯০% সিটেই রোগী, ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ডাক্তার-নার্স

অনলাইন ডেস্ক

২৬ জুলাই, ২০২১ | ৩:২৬ অপরাহ্ণ

করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন চলছে। আর এ বিধি-নিষেধ না মানায় বিস্ময় প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রত্যেক রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট প্রায় বুকড হয়ে গেছে। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন। ’  
 
সোমবার (২৬ জুলাই) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন’ মানাতে হবে। ‘লকডাউনে’র বিষয়ে অনেকের অনীহা, অনীহা হলে চলবে না। আগে জীবন বাঁচবে, তারপরে অর্থনীতি। আপনি জীবনে বেঁচে থাকলেন না, তাহলে অর্থনীতি দিয়ে কী করবেন? অর্থনীতি বাঁচাতে হলে বাঁচতে হবে। বাঁচতে হলে ‘লকডাউন’ মানতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু আমরা খুব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ‘লকডাউনে’র তিন-চার দিন চলছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ চলাফেরা করছে, যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। তারা ‘লকডাউন’ ব্রেক করতেছে এবং নিজেদের ক্ষতি করতেছে। 

‘আপনারা জানেন, প্রত্যেক রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। হাসপাতালেও সীমাবদ্ধতা আছে, ৯০ শতাংশ সিট প্রায় বুকড হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, যতদূর পারি করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টার আগামী শনি বা রবিবার চালু করব। তারপর কোনটা চালু করব? এরপর তো অবস্থা নাই যে আমরা একটা হাসপাতাল স্থাপন করব। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তারা আর কত কাজ করবেন।

চিকিৎসক ও নার্স সংকট মেটাতে উদ্যোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন চার হাজার ডাক্তার নিচ্ছি। নার্সও চার হাজার নেওয়া হচ্ছে। অনুরোধ করেছি ইন্টারভিউ না নেওয়ার, পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার নাই। তাদের তাড়াতাড়ি কাজে যোগদান করার জন্য।’
 
তিনি আরও বলেন, আমরা অনুরোধ করব, জনগণকে একটু সচেতন করার, বয়স্ক যারা আছে, তারা যাতে ভ্যাকসিন নেয়, টেস্ট করায় এবং যেখানে সংক্রমিত হচ্ছে, সেখানে না যায়।

 

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট