চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

বাদীর পরিচয় নিশ্চিতে হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক

২৪ জুন, ২০২১ | ৪:১৮ অপরাহ্ণ

ভুয়া পরোয়ানা, মামলায় হয়রানি বন্ধে থানা, আদালত বা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করার সময় অভিযোগকারীর পরিচয় যথাযথভাবে নিশ্চিত হতে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

‘অস্তিত্বহীন’ বাদীর মামলা চ্যালেঞ্জ করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৪ জুন রুলসহ এসব নির্দেশনা দেন।

পূর্ণাঙ্গ আদেশটি বুধবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

হাইকোর্টের পাঁচ নির্দেশনা হচ্ছে-

# অভিযোগ/এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, ক্ষেত্রমতে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

# এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে এজাহারকারীকে শনাক্তকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

# বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর লভ্য (অ্যাভেইলেবল) না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বীয় বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।

# আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন।

# অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদাদুল হক বসির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি অরবিন্দ কুমার রায় ও জেনারেল বিপুল বাগমার।

রিট আবেদনটি করেছিলেন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচার, এসিড নিক্ষেপসহ নানা অভিযোগের ৪৯টি মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন।

মারামারির এক মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট সূত্রাপুর থানা পুলিশ কাঞ্চনকে প্রথম গ্রেপ্তার করে। এরপর দুই বছর তিন মাস তিনি কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যে ১৭টি মামলা হয়।

২০১৫ সালের ২১ মে জামিনে বেরিয়ে আসেন কাঞ্চন। পরে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্ত হন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট