চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশু আবু সাঈদ হত্যা: ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল

অনলাইন ডেস্ক

২২ জুন, ২০২১ | ২:১৯ অপরাহ্ণ

সিলেটে ছয় বছর আগে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র  আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিন আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২২ জুন) আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদেনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল খারিজ করে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

দণ্ডিতরা হলেন-বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব এবং পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।

হাইকোর্টে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.সিদ্দিকুর রহমন। 

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে আসামিদের মৃদ্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের আপিল খারিজ করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।  এরপর ১৪ মার্চ রাতে নগরীর ঝর্নার পাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, ওলামা লীগের নেতা রাকিব, পুলিশের সোর্স গেদা এবং ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

বিচার শেষে ওই বছর ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানির পর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিল উচ্চ আদালত।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট