চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অ্যাস্ট্রাজেনেকাই মৃত সঞ্জীবনী

আহমেদ শরীফ শুভ

২৩ এপ্রিল, ২০২১ | ২:২৯ পূর্বাহ্ণ

‘নানা অজুহাত, রটনা কিংবা তথ্যবিভ্রাটের কারণে অনেকেই এখনো করোনার টিকা গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছেন। টিকা নেওয়ার ব্যাপারে যারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, তাদের উদ্দেশ্যেই এই বিশ্লেষণধর্মী লেখাটি ছাপা হলো। আশাকরি, লেখাটি পড়ার পর টিকা গ্রহণের ব্যাপারে আর কোন দ্বিধা থাকবে না।’-সম্পাদক

বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে করোনা প্রবাহের এই বিপর্যয়ে ভ্যাক্সিন গ্রহণে একশ্রেণির মানুষের দ্বিধার কারণে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে পড়েছে। এই দ্বিধাক্ষেত্র বিশেষে ঢালাওভাবে সব ভ্যাক্সিনের সম্পর্কে হলেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে অক্সফোর্ড/ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন। যেহেতু, কোভিডের এই ভ্যাক্সিনটিই আমাদের দেশে দেয়া হচ্ছে তাই এই দ্বিধা ও সংশয় কাটিয়ে উঠতে না পারলে এই মহামারী প্রলম্বিত হতে বাধ্য। ভ্যাক্সিন নিয়ে এই সংশয়ের পেছনে রক্তজমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উঠলেও বিভিন্ন রকম কনস্পিরেসি থিউরি এবং অজ্ঞানতাও কম দায়ী নয়। রক্তজমাট বাঁধার অত্যন্ত বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া এই ভ্যাক্সিন নিয়ে অন্যসব সংশয়ই মূলত অজ্ঞানতা ও কন্সপিরেসি থিউরিপ্রসূত। কোভিড সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেও অনেকে বলেছিলেন বিষয়টি কাল্পনিক, কেউ কেউ বলেছিলেন এটি সর্দি কাশির মতো সাধারণ রোগ। সময়ের বিবর্তনে এসব থিউরি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন নিয়ে বিদ্যমান সংশয়ও অনেকাংশেই তেমন ভিত্তিহীন। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা অন্যকোন নেতিবাচক সংবাদ নিয়ে গণমাধ্যমে যতটা হৈ চৈ হয় তার সাফল্যের ব্যাপকতা সে পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পায় না, ফলে সাধারণ মানুষের ধারণায় ইতিবাচক প্রভাবের ঘাটতি দেখা যায়। এই বিষয়ে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের ভাবার অবকাশ রয়েছে।

একথা সত্যি যে অত্যন্ত বিরল হলেও রক্তজমাট বাঁধা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিনের একটি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সেসাথে এই ভ্যাক্সিনটি সম্পর্কে জনমনে আরো কিছু বিরূপ ধারণা রয়েছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মানুষকে সঠিক ধারণা দিতে না পারলে এই দ্বিধা ও সংশয় কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি আড়াই থেকে ৩ লক্ষ ভ্যাক্সিন গ্রহণকারীর মধ্যে একজন এই প্রতিক্রিয়ার শিকার হবেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রতি ৪ জনের ৩ জনই চিকিৎসায় সেরে উঠবেন। আমাদের জানা প্রয়োজন যে এশীয় জনগোষ্ঠীতে এই ভ্যাক্সিন নেয়া ছাড়াও এমনিতে রক্তজমাট বাঁধার হার প্রতি ১ হাজার জনে ১ জন। এই হার কোভিড ভ্যাক্সিনে রক্তজমাট বাঁধার হারের চেয়ে বহুগুণে বেশি। সুতরাং, ভ্যাক্সিন না নিলেই যে আপনি রক্তজমাট বাঁধার আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকবেন বিষয়টি এমন নয়। তাছাড়া ভ্যাক্সিন না নেয়ার কারণে কোভিডে আক্রান্ত হলে এই উপসর্গের সম্ভাবনা ১০ গুণ বেড়ে যায়। সুতরাং, ভ্যাক্সিন না নিলে তা কোনভাবেই আপনাকে রক্তজমাট বাঁধার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারবে না। এই ভ্যাক্সিনের অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত সামান্য (মাথাব্যথা, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি) এবং অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। অনেকের ধারণা অন্যান্য ভ্যাক্সিন, বিশেষ করে ফাইজারের ভ্যাক্সিনে রক্তজমাট বাঁধে না তাই আমাদের জন্য এটিই বেশি উপযোগী। এই বিষয়টিও যথার্থ নয়। প্রথমত সংখ্যায় কম হলেও ফাইজারের ভ্যাক্সিনেও রক্তজমাট বাঁধার যোগসূত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত ফাইজার ভ্যাক্সিনও মারাত্মক এলার্জির সম্ভাবনামুক্ত নয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আলোচনার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য। আমরা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না জেনেই প্রতিদিন প্রেসক্রিপশন ছাড়া বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বহু ওষুধ খাচ্ছি। অনেকের হয়তো জানা নেই প্যারাসিটামলের মতো বহুল ব্যবহৃত সাধারণ ওষুধের কারণে জীবননাশক এলার্জিক রি-একশন এবং লিভার ফেইলিউর হতে পারে; ভল্টারিন ও ব্রুফেন জাতীয় প্রদাহনাশী ওষুধের কারণে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। অথচ আমরা এসব ওষুধ খাওয়ার সময় এসব মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তাই করি না। সে তুলনায় ভ্যাক্সিনের কারণে রক্তজমাট বাঁধার যে ঝুঁকি তা অত্যন্ত বিরল এবং সেই ঝুঁকি নেয়া নির্বিচারে প্যারাসিটামল কিংবা ভল্টারিন/ ব্রুফেনজাতীয় ওষুধ সেবনের চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।

অনেকে মনে করছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ কোভিড ভ্যাক্সিনগুলো এত দ্রুতবাজারে আসায় এগুলোর কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা হয়নি। এই ধারণাটিও সঠিক নয়। প্রয়োজনের বিবেচনায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ভ্যাক্সিন বাজারজাত করার আগে সব ধাপের পরীক্ষা-নিরীক্ষাই সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা হয়েছে। আর তা হয়েছে বলেই এগুলোর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্নদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শঙ্কায় ইউরোপের কোন কোন দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও অধিকাংশ দেশেই তা আবার শুরু হয়েছে। সুতরাং বৃহত্তর বিবেচনায় আমাদের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেয়ার পরতো বটেই, দেশে কেউ কেউ দ্বিতীয়ডোজ নেয়ার পরও কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতেও এই ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ১০০% কার্যকর কোন ভ্যাক্সিন কোন রোগের বিরুদ্ধেই নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিনের সামগ্রিক কার্যকারিতা ৮০%, তার অর্থ সঠিকভাবে ২ ডোজ নিলেও প্রতি ৫ জনের ১ জন কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু ৪ জনতো প্রতিরক্ষা পাচ্ছেন। সবচেয়ে আশার কথা এই যে এই ভ্যাক্সিন নিলে ১০০% ক্ষেত্রেই তা মারাত্মক কোভিড কিংবা মৃত্যু প্রতিহত করতে সক্ষম হচ্ছে (এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী)। তবে মনে রাখতে হবে এই ভ্যাক্সিনের দুই ডোজের মধ্যকার সময় ব্যবধান ২-৩ সপ্তাহ হলে এবং দ্বিতীয় ডোজের পর আরো ২-৩ সপ্তাহ পর থেকেই সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দেবে। তাই অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে প্রথম ডোজ গ্রহণের পর যে কেউই সংক্রমিত হতে পারেন। এমনকি দ্বিতীয় ডোজের ১ বা ২ সপ্তাহের মধ্যেও আক্রান্ত হতে পারেন। যদি দুডোজের সময় ব্যবধান ৬ সপ্তাহের কম হয় তাহলে এই প্রতিরোধসক্ষমতা ৫৫% এ নেমে আসে, অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরও প্রায় অর্ধেক মানুষই সংক্রমিত হতে পারেন। এই ঘটনাগুলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিনের অকার্যকারিতা প্রমাণ করে না, বরং ভ্যাক্সিন প্রয়োগের সঠিক নিয়মটিই সবাইকে মনে করিয়ে দেয়।

কেউ কেউ চরিত্র পরিবর্তিত (মিটেন্টভ্যারিয়েন্ট) করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ে আছেন। আশার কথা এই যে যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ সব ভ্যাক্সিনই একইরকম কার্যকর বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা কিছুটা কম হলেও এই ভ্যাক্সিন গুরুতর কোভিড ও মৃত্যুপ্রতিরোধে সমান কার্যকর। তাছাড়া ভ্যাক্সিন না নিয়ে আমরা যদি সংক্রমণ বাড়ার এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সুযোগ দেই তাহলেই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং সেগুলোর কোন কোনটির ভ্যাক্সিনকে নিষ্ক্রিয় করার শক্তি থাকতেও পারে। তাই বিদ্যমান মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্টের অজুহাতে ভ্যাক্সিন গ্রহণে অনাগ্রহ বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। যারা ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্যও ভ্যাক্সিন নেয়া জরুরি। কারণ, আক্রান্ত হওয়ার জন্য তাদের শরীরে যে ইম্যিউনিটি তৈরি হয়েছে তা করোনার নতুন আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম নাও হতে পারে কিংবা নতুন উদ্ভব হওয়া ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর নাও হতে পারে।

আমরা যতই সংশয়ে থাকি না কেন সেসব সংশয়ের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বিপুল জনগোষ্ঠীকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে না পারলে আমরা একটি ভয়াবহ বিপর্যয় কিছুতেই এড়াতে পারবো না। ভ্যাক্সিন বলতে আমাদের এই মুহূর্তের অবলম্বন হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন। অন্যান্য ভ্যাক্সিন, বিশেষত ফাইজারের ভ্যাক্সিন অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে বেশি কার্যকর কিংবা কম ঝুঁকিপূর্ণ কিনা সেই বিবেচনার চেয়েও বড় বিবেচনা হচ্ছে ফাইজারের ভ্যাক্সিনের পরিবহনের জন্য যে তাপমাত্রা (৭০ ডিগ্রি) রক্ষা করতে হয় তা আমাদের দেশের বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া ফাইজার ভ্যাক্সিনের দামও অ্যাস্ট্রাজেনেকার চেয়ে অনেক বেশি। যতক্ষণ আমাদের হাতে সুলভ মূল্যে অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট এবং সহজে পরিবহন ও সংরক্ষণযোগ্য বিকল্প না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিনই মৃত সঞ্জীবনীর কাজ করবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে ভ্যাক্সিন মৃতসঞ্জীবনী হলে মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে সেই সঞ্জীবনী পানের পাত্র। ভ্যাক্সিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তাতে দু’টি সুফল পাওয়া যাবে। ভ্যাক্সিন যাদের (প্রায় ২০%) সুরক্ষা দিতে পারবে না মাস্ক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধ তাদের অনেকের সুরক্ষার সম্ভাবনা বাড়াতে পারবে। সেই সাথে রোগ পরিবহনের হারও কমাতে পারবে, তাতে করে যারা ভ্যাক্সিন নিতে পারেননি তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিনকে যতই মৃতসঞ্জীবনী বলি না কেন তার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে লড়াইটা চালিয়ে যাওয়া যাবে না। আমরা বর্তমানে ভ্যাক্সিন সংকটের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। ভ্যাক্সিন কূটনীতিতে আরো সক্রিয় হয়ে সরকারকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বিশাল জনগোষ্ঠীকে কোভিড-নিরাপদ করতে না পারলে আমরা কেউই নিরাপদে থাকতে পারবো না। অন্য ভ্যাক্সিনগুলো সংগ্রহের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখতে হবে। ফাইজারের ভ্যাক্সিন থেকে পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নিলেও চলবে না। এ কথা ঠিক যে ফাইজারের ভ্যাক্সিন সারাদেশে পরিবহন ও সংরক্ষণ আমাদের প্রেক্ষিতে বাস্তবসম্মত নয়, এর বাজারমূল্যও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। কিন্তু দ্রুততম সময়ের মধ্যে (প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে) অন্তত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণের জন্য তিনটি ভ্যাক্সিনেশনহাব (মহাকেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করা আমাদের সাধ্যাতীতও নয়। এ প্রসঙ্গে ফাইজার ভ্যাক্সিনের উচ্চমূল্যের কথা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফাইজার ভ্যাক্সিন ক্রয় সক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাজার মূল্যে দেয়া যেতে পারে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী বাজারমূল্যে ফাইজার ভ্যাক্সিন ক্রয়ে সক্ষম। তাতে সরকারের উপর আর্থিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে, আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা যাবে এবং সর্বোপরি সাধারণ মানুষের মৃতসঞ্জীবনী অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিনের চাহিদার উপর চাপ কমবে।

লেখক : মেলবোর্ন প্রবাসী ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট