চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

১৯ এপ্রিল, ২০২১ | ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির ৩১তম সভা রোববার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশ কিছু সুপারিশসমূহ গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের পরবর্তী সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় সংক্রমণের অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিটি। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। পাশাপাশি সভা-সামাজিক সমতার বিষয়েও নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সভায় সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কমিটি খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার অনুরোধ করে। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। উদাহারণ হিসেবে চলমান লকডাউন এ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটির জন্য চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের প্রস্তাব আবারও দেওয়া হয়।

এতে আরও বলা হয়, ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সভায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতিদ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপরও জোর দেওয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু রেকর্ড হচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনের।

এর মধ্যে ১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের কিছু বেশি সময়েই মারা গেছেন ১,৯৭৭ জন। গত তিনদিন ধরে দৈনিক ১০০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন।

রোববার করোনাভাইরাসে দেশে সবচেয়ে বেশি ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে ১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ৭৩৪ জন।

৪ এপ্রিল দৈনিক সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট