চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৫০ বছরে আমাদের অর্জন

ইফতেখারুল ইসলাম

২৬ মার্চ, ২০২১ | ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার পর থেকে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ৫০ বছরের পথপরিক্রমায় অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বিদেশিদের দৃষ্টিতে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল এক তলাবিহীন ঝুড়ি। স্বাধীনতার মাসের পূর্বমুহূর্তেই জাতিসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ (সিডিজি) আমাদের ‘এলডিসি’র তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ করেছে। কত বড় অর্জন, ভাবা যায়! সারাবিশে^ বাংলাদেশ এখন এক উদীয়মান অর্থনীতির দেশ।
স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। সে সময় প্রায় প্রতিটি সূচকেই এগিয়ে ছিল ভারত-পাকিস্তান। এখন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটিই আমাদের স্বাধীনতার বড় অর্জন। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সরল স্বীকারোক্তি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের।
যেকোনো দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরা হয় মানবসম্পদ উন্নয়ন। এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ^ব্যাংকের ‘মানব উন্নয়ন সূচক, ২০২০’ প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে ৫২তম। সেখানে পাকিস্তান ৪১ পয়েন্ট নিয়ে ৩১তম স্থানে আছে। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ভারত ৫৯তম স্থানে থেকে অবশ্য এ সূচকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার। পাকিস্তানের ১ হাজার ৬৪১ ডলার এবং ভারতের ১ হাজার ৮৯৫ ডলার। নারীশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
রপ্তানি আয় : করোনা মহামারী আঘাত হানার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ওই বছরের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার আর ভারতের রপ্তানি আয় ৩১৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, পাকিস্তানের মাত্র ১৩ বিলিয়ন ডলার আর ভারতের ৩৩০ বিলিয়ন ডলার। মুদ্রার বৈদেশিক বিনিময় হারে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানকে অনেক পেছনে ফেলেছে। বাংলাদেশের মুদ্রা ৮৫ টাকায় এখন ১ ডলার পাওয়া যায় আর ওই ১ ডলার পেতে এখন পাকিস্তানে ১৫৮ রুপি লাগে।
সন্ত্রাসবাদ দমন : সন্ত্রাসবাদ দমনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সফল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরসহ গত কয়েক বছরের সন্ত্রাসবাদ সূচক থেকে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস এন্ড পিসের (আইইপি) বৈশি^ক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২০ প্রকাশ করে। এতে ৩৩তম স্থানে অবস্থান বাংলাদেশের। প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৯০৯। ৭ দশমিক ৫৪১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান সাত, ৭ দশমিক ৩৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ভারত আট, ৬ দশমিক ০৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা ২০, ৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে নেপাল ২৭ নম্বরে অবস্থান করছে।
সুনীল অর্থনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে প্রথমে মিয়ানমার এবং পরে ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এতে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকার ওপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উপকূল হতে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে অবস্থিত সকল প্রকার প্রাণীজ ও খনিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশ একচ্ছত্র মালিকানা লাভ করেছে। যার মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির (সুনীল অর্থনীতি) দ্বার খুলে গেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও ভিশন-২০৪১ অর্জনে ব্লু-ইকোনমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নানা পদক্ষেপ সমৃদ্ধির আশা জাগাচ্ছে।
মেগা প্রকল্প : উন্নত দেশ হতে কাজ চলছে ১০ মেগা প্রকল্পের। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এরপর মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ। এখন বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে উন্নত দেশ হওয়ার। প্রকল্পসমূহ হল পদ্মা সেতু প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পায়রা বন্দর নির্মাণ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-ঢাকা ডাবল রেল লাইন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন, কর্ণফুলী টানেল।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ : বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উঠে আসে জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখিয়েছে।
শিক্ষাখাতে অর্জন : শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা।
সাউথ-সাউথ এওয়ার্ড : তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করা হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ এওয়ার্ডে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন : দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল।
পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং ও কৃষিতে কৃতিত্ব: কৃষিখাতে অভূতপূর্ব কিছু সাফল্যের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বারবার আলোচিত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম আবিষ্কার করেছেন পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত মাত্র ১৭ টি উদ্ভিদের জিনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে ড. মাকসুদ করেছেন ৩টা।
প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়নে অর্জন: বর্তমানে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশের ৮৬ লক্ষেরও অধিক শ্রমিক কর্মরত আছে।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ : ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যোগদানের পর এ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৯টি দেশের ৬৪ শান্তি মিশনে খ্যাতি ও সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
শিল্প ও বাণিজ্য খাতে অর্জন : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পাশাপাশি প্রসার ঘটেছে আবাসন, জাহাজ, ওষুধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যশিল্পের। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে জাহাজ, ওষুধ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী।
ভূমি ব্যবস্থাপনায় অর্জন : ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করতে ৫৫টি জেলায় বিদ্যমান মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান কম্পিউটারাইজেশনের কাজ সম্পন্ন করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
মন্দা মোকাবেলায় সাফল্য : মন্দার প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন বিপর্যস্ত ছিল বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন উপয্ক্তু প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে মন্দা মোকাবেলায় সক্ষমই শুধু হয়নি, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশের বেশি বজায় রাখতে সক্ষম হয়।
খেলাধুলা: বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই খেলাধুলাতেও। বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচিতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
ডিজিটাল বাংলাদেশ : ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ দশে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম চালু হল ই-পাসপোর্ট।
উদীয়মান বাংলাদেশ : বিখ্যাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস ১১টি উদীয়মান দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশ রয়েছে এ তালিকায়।
মানবিক বাংলাদেশ : মানবিক মর্যাদায় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বকেই। ১০ লাখ নির্যাতিত মানুষকে একসঙ্গে আশ্রয় দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।
মেইড ইন বাংলাদেশ : বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে তৈরি পোশাক (গার্মেন্ট) শিল্প।
বহির্বিশ্বে প্রতিশ্রুতিময় ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র : বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার চালকে আসনে জায়গা করে নিয়েছে। নীতিনির্ধারণী অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি বিমসটেক, ডি-৮, ওআইসি, ন্যামসহ বিভিন্ন ফোরামে ভূমিকা রাখছে।
যেভাবে বদলেছে অর্থনীতি : বিবিএস এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে সূচকে দেখা যায়, ১৯৭৩-১৯৭৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিলো মাত্র ২৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেসময় জিডিপি’র আকার ছিলো ৭ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। মাথাপিছু আয় মাত্র ১২৯ ডলার। দারিদ্র্যের হার ৭০ শতাংশ। পঞ্চাশ বছর পর রপ্তানি আয় বিলিয়ন ডলারের ঘরে। ২০২০ সালের হিসেবে যা ৩৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জিডিপি আকার ১৯৭৩-১৯৭৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে বেড়েছে ৩৬৯ গুণ। পরিমাণে যা প্রায় ২৭ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা।
মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬ গুণ। অর্থাৎ ২,০৬৪ ডলার। দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ২০.৫ শতাংশ।
মানবসম্পদ সূচকে অগ্রগতি : মানবসম্পদ সূচকে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেছে। জাতিসংঘের সূচকে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর ৭৩.২ শতাংশ। এই সূচকের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে মূলত শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি। ১৯৭৪ সালে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ১৫৩ জন। ২০১৮ সালে প্রতি হাজারে মাত্র ২২ জনে নেমে আসে।
রেমিটেন্স : ২০২০ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। এই পাঠানো অর্থ গ্রামবাংলার অর্থনীতিকে সচল ও সবল করে রেখেছে।
বিদ্যুৎ : ৫০ বছর আগের গ্রাম আর আজকের গ্রাম এক নয়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। কুপিবাতি বিলীন হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আমাদের ছিল ২৪ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ আমাদের এখন উদ্বৃত্ত।
চাল উৎপাদন : ৫০ বছরে চালের উৎপাদন চার গুণ বেড়েছে। কিছু গম অবশ্য আমদানি করতে হয়। মাছে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে। শাকসবজি, মাছ-মাংস, ডিম এবং ফলমূল এখন প্রচুর। আগে ফল ছিল রোগীদের খাবার। আজ বাজারে বাজারে ফলে ফলে সয়লাব।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইন : ৩০৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথ ডবল লাইনে উন্নীতকরণের কাজ বর্তমান সরকারের আমলে শুরু হয়ে ২২৪ কিলোমিটার কয়েক বছর পূর্বে শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৭১ কিলোমিটারের কাজও প্রায় সমাপ্তির পথে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল ভ্রমণ ৬ ঘণ্টার স্থলে ৪ ঘণ্টায় নেমে আসবে। ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট