৪২টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত আগামী ১ জুলাই থেকে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন দেশের নাগরিকরা। তবে ই-পাসপোর্ট চালু হলেও এমআরপি (মেসিন রিডেবল পাসপোর্ট) পাসপোর্ট বাতিল হবে না বলে জানিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পৃথিবীতে ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। এবার ওই দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।
বর্তমানে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, তা ই-পাসপোর্টে থাকবে না। সেখানে পলিমারের তৈরি একটি কার্ড থাকবে। এই কার্ডে সংরক্ষিত চিপে পাসপোর্ট বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
এছাড়া একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেওয়া হবে। সেই পাতায় থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।
ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য ঝামেলাহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যাবে।
বর্তমানে এমআরপি ডাটা পেজে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এই ই-পাসপোর্টের মেয়াদ বয়স অনুপাতে ৫ ও ১০ বছর হবে।
এই প্রক্রিয়া চালু হলে নতুন করে কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তারা নবায়ন করতে গেলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রুততম সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিআইপি) তৈরি থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সব কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদপ্তর।
পূর্বকোণ/পলাশ