চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ

অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর এখনের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়ালি প্রেস কনফারেন্সে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের এই অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই বলেন, আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, বাংলাদেশের একটি মহৎ এবং গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সুসংবাদ দেওয়ার জন্য।
‘বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।’

লক্ষ্য অর্জনের এই সময়ের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি; আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে।

জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে।

উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ ডলার। অর্থাৎ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় এক দশমিক সাত গুণ। মানবসম্পদ সূচকে নির্ধারিত মানদণ্ড ৬৬-এর বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকে উত্তরণের জন্য মানদণ্ড নির্ধারিত ছিল ৩২ বা তার কম। কিন্তু ওই সময়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৭।

সিডিপির প্রবিধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় ভোগ করতে পারে। নিউইয়র্কে ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট