চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি: দেড় মাসে ১৪ নেতা বহিষ্কার !

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১:৪০ অপরাহ্ণ

দলে গণতন্ত্র চাওয়ার কারণে গত এক মাস ২২ দিনে ১৪ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কারের পর এই নেতাদের আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো ধরণের ব্যাখ্যা দেয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি। এমনকি বহিষ্কারের কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও দেয়নি দলটি। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে দলটির নেতারা বলেছেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে এই ১৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

গত সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মির্জা আল মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করছে। বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আল মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র চাই। এটাই আমার অপরাধ। অন্য কোনো অপরাধ নেই। আর আমাকে বহিষ্কারের কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ারও সুযোগ দেয়া হয়নি। এরপরও আমি স্বতন্ত্র থেকে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে এবার ভোট করবো।

গত ১০ জানুয়ারি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আব্বাস, সদস্য অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন এবং সদস্য মো. লেয়াকত আলীকেও বহিষ্কার করা হয়। একই দিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মজিবুর রহমানকে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম ফারুক এবং জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি রফিকুল আলম বাবুকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত থাকার অভিযোগে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর পৌরসভার বিএনপি নেতা মো. রেজাউল করিম সরদারকেও দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি বগুড়া জেলার পাঁচ নেতাকেও বহিষ্কার করে বিএনপি। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- বগুড়া জেলার গাবতলী পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাফর ইকবাল রেজা, সাবেক সদস্য মো. আব্দুল করিম, পৌর কৃষকদলের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব হোসেন রাজু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুল আলম রাসেল এবং পৌর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সুজন আহম্মেদ। একইভাবে, গত ২১ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরাকেও সবকিছু থেকে বহিস্কার করে দলটি। এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরা দাবি করেন, গত পৌরসভা নির্বাচনে আমি প্রার্থী ছিলাম। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বোর্ডের ৪৫ জনের মধ্যে আমাকে ৩৫ জন ভোট দিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ বিএনপির সাবেক এক প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে লেনদেন করে আরেকজন ঢাকা থেকে মনোনয়ন নিয়ে আসেন। তখন আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করি। এই অভিযোগেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি একই অভিযোগে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর বিএনপির ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. শফিকুর রহমান রতনকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট