রাতের আঁধারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত ১৩ শিক্ষার্থীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গতকাল রাতের ওই হামলার ঘটনায় আহত ১১ জনকে সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছি, হামলায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার দুপুরে। সজল নামের এক শিক্ষার্থী রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন যাশোরের বাসের টিকেট কাটতে। সেখানে বিআরটিসির কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেখানে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মো. আসাদুজ্জামান জানান, এক ছাত্রকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিকালে রুপাতলী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। পরে বিআরটিসির কাউন্টার কর্মী রফিককে পুলিশ আটক করলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
এরপর রাত ২টার দিকে রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটে বলে আহতদের ভাষ্য।
তাদের অভিযোগ, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে একদল পরিবহন শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই হামলা চালায়।
পরে আহতদের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জানান বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একজন। ওই ঘটনার পর রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। ভোরের দিকে ফিরে গেলেও সকালে আবার ফিরে এসে তারা অবরোধ শুরু করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা কাউসার জানান, আমি ঘটনা জানিও না। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই।
পূর্বকোণ/পিআর