এখন যারা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ১২ হাজার, ১৫ হাজার টাকা করে পান আগামীতে তারা সবাই ২০ হাজার টাকা করে পাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে (জিটুপি) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তাদের কল্যাণের জন্যই জাতির পিতা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গড়ে তুলেছিলেন। এর উদ্দেশ্য হলো- আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, বিধবাদের পুনর্বাসনসহ নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করা।  ২১ বছর পর যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই একটা উদ্যোগ নেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার। সেই সাথে যারা দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা তাদের কিছু সহযোগিতার ব্যবস্থাও আমরা করি, ভাতার ব্যবস্থা করে দিই। আর যারা খেতাবপ্রাপ্ত তাদের জন্যও আমরা ভাতার ব্যবস্থা করি। সেই ভাতা যখন থেকে চালু করি তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মাসিক ৩০০ টাকা আমরা চালু করেছিলাম। আজকে তা ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।’  

তিনি আর বলেন,‘আমি মনে করি এই সময় ১২ হাজার টাকা কিছু না। আমি ইতোমধ্যে  ২০ হাজার টাকা করেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা করে দেবো। তবে আজকের যে ভাতাটা অনলাইনে যাবে যেটা আমরা পেয়েছি সেভাবেই যাবে। এটা একটু করতে সময় লাগবে, কারণ বাজেটে টাকা বরাদ্দ করতে সময় লাগবে। তবে এটা আমরা করে দেবো। আমরা সেভাবে এস্টিমেটও করেছি যে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা, তার পরে যারা আছেন ১২ হাজার টাকা করে পান, কেউ ১৫ হাজার, কেউ ২০ হাজার সেটা না পেয়ে সবাই ২০ হাজার টাকা করেই পাবেন।’

‘এছাড়া যারা বীরশ্রেষ্ঠ তারা একটু আলাদাভাবে ভাতা পাবেন। তবে আমি মনে করি সবাইকে এক সাথে করে দেওয়াটাই ভালো। কারণ সবাই তো মুক্তিযুদ্ধই করেছে। এত ভাগে ভাগ না করে এটাকে এক জায়গায় নিয়ে এসে মন্ত্রণালয় বসে ঠিক করে নেবে। বিশেষ করে ১৫ হাজার আর ১২ হাজার সব মিলিয়ে ২০ হাজারে নিয়ে আসলে তখন সবাই ২০ হাজার টাকা করে ভবিষ্যতে পাবে।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

পূর্বকোণ/এএ