চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সেদিন হোটেলে কী ঘটেছিল জানালেন ডিজে নেহা

পূর্বকোণ ডেস্ক

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১০:২১ অপরাহ্ণ

রাজধানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রীকে মদপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বান্ধবী ডিজে ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার রহস্যের জট খুলতে এদিন নেহাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল হক। অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃত ছাত্রীর বাবার করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।

রেস্টুরেন্টের ঘটনা সম্পর্কে আদালতে নেহা বলেন, ‘গত ২৮ জানুয়ারি আমার বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে গিয়ে আরও কয়েকজনকে দেখতে পাই। আমি আরাফাত ছাড়া অন্য কাউকে চিনতে পারিনি। সেখানে আমি মদপান করি। তিন প্যাক খাওয়ার পর আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। আমি তখন সেখান থেকে বাসায় চলে যাই। বাসায় আসার পরও আমার কয়েক দফা বমি হয়। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।’

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নেহা ও অন্যান্যদের কাজই ছিল প্রতিরাতে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টির আয়োজন করা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পার্টিতে এটেন্ড করা ও নাচ গান করা ছিল নেহার পেশা। মোবাইলেও এ ধরনের প্রমাণ পেয়েছি। আরাফাত ও মাধুরির মৃত্যুর মূল কারণই ছিল অতিরিক্ত মদ্যপান করা।

হারুণ অর রশীদ বলেন, এ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত মারা গেছেন। অন্য আসামি রায়হান ও নুহাত আলম তাফসীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি রয়েছে একজন। তাকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাকেও রিমান্ডে নেয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের আসল রহস্য উদঘাটিত হবে।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট