রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নেহাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের জায়গায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার।

নেহাকে রাজধানীর আজিমপুরের বাসা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে (৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন আরেক আসামি শাফায়াত জামিল (২২) ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ জানুয়ারি বিকেল চারটায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখান থেকে আরাফাত, ওই তরুণী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন নেহা এবং একজন সহপাঠী। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি ওই মামলায় তার দুই বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পূর্বকোণ/এএ