চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এক চক্রের হাতেই ৩৪০০ সিম, পাঁচ কোটি টাকার সরঞ্জাম উদ্ধার

পূর্বকোণ ডেস্ক

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৮:০৩ অপরাহ্ণ

রাজধানীতে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সাথে জড়িত এক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত রাজধানীর নিউমার্কেট, তুরাগ ও শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হল- ভিওআইপি ব্যবসা চক্রের মূলহোতা কাজী এম এম মাহামুদ ওরফে ছোটন (৩২), রাকিব হাসান (৩০) ও বাবর উদ্দিন (৩০)। এ সময় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন এলিফ্যান্ট রোডের তালহা এন্টারপ্রাইজ নামে এক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ রাকিব হাসান ও বাবর উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে তুরাগ থানাধীন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিওআইপি কন্ট্রোল রুমের সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার চক্রের প্রধান কাজী এম এম মাহামুদ ছোটনকে আটক করা হয়। এ সময় ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ১৯টি সিম বক্স ডিভাইস, ৪১৬টি জিএসএম এন্টেনা, ৩ হাজার ৪০০ পিস টেলিটক সিম, সাতটি মিনি কম্পিউটার, তিনটি ওয়ারলেস রাউটার, পাঁচটি বাংলা লায়ন মডেম ও রাউটার, তিনটি ল্যাপটপ, একটি ল্যাপটপ কুলার, ১০টি বিভিন্ন চার্জার, ছয়টি ইউএসবি মডেম, ১২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২৪টি কন্সেল ক্যাবল, তিনটি থ্রি-প্ল্যাগ, চারটি মাল্টিপ্ল্যাগ, একটি মাউস, চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-১০ সিও বলেন, আটককৃতরা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী ও ভিওআইপির যন্ত্রংশ ক্রয়-বিক্রয়কারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু চক্রটি কিভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকের ৩ হাজার ৪০০ সিম ক্রয় ও ব্যবহার করে আসছিল তা র‍্যাব ও বিটিআরসির নজরে এসেছে। এটি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তাদের এই ভিওআইপি কল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, বিটিআরসি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে চক্রটি প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল। এর ফলে সরকার দৈনিক প্রায় তিন লাখ টাকা ও বছরে প্রায় ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছিল।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট