চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে শূন্য থাকা ৬৮ পদে নেতা মনোনীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ জানুয়ারি, ২০২১ | ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

অবশেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শূন্য থাকা ৬৮টি পদ ১৩ মাস পর পূরণ হয়েছে।

আজ রবিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পদায়ন করা ৬৮টি পদের মধ্যে সহ-সভাপতি ২৫ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এক জন, সম্পাদক সাত জন, উপ-সম্পাদক ২৪ জন, সহ-সম্পাদক নয় জন এবং সদস্য দুই জন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কমিটিতে আব্দুল জাব্বার রাজকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনিকে দপ্তর সম্পাদক, মেহেদি হাসান সানিকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খন্দকার জামি উস সানিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক. তুহিন রেজাকে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, খালেদ মাহমুদ ফসসালকে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক, আল আমিন রহমানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক, ফেরদৌস মাহমুদ পলাশকে উপ-প্রচার সম্পাদক, সজীব নাথকে উপ-প্রচার সম্পাদক, মিরাজুল ইসলাম খান শিমুলকে উপ-প্রচার সম্পাদক, তন্ময় দেবনাথকে উপ-প্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকসহ মোট ৬৮ নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে মনোনীত করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য।

তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এর আগে শোভন ও রাব্বানী দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। আর কমিটি ঘোষণার পরপরই প্রশ্ন ওঠে পদ পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে। অভিযোগ ওঠে কমিটিতে যোগ্যদের স্থান না দিয়ে রাখা হয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে যুক্ত, বিবাহিত, সংগঠনে নিষ্ক্রিয় এবং অছাত্ররাও। এছাড়াও সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের বঞ্চিত ও পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

পরে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জয়-লেখক কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ১১ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন সময় আরও চারটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির মোট ৩৭টি পদ শূন্য হয়।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট