বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তার ভাই মির্জা আবদুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে দেয়া বক্তব্যে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সত্য বলায় বহিস্কার হলেও কোন সমস্যা নেই।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে নিজের আইডি থেকে দেয় এক লাইভে এসব কথা বলেন তিনি। তার ওই ভিডিও ফেসবুকে প্রচার হওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় আবার সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও এমপি একরাম চৌধুরীর ওই ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

ভিডিও বার্তায় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।

একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তাঁর ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।

এই ভিডিও বার্তা দেয়া এবং সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সকালে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বাবা ছিলেন মুসলিম লীগের লোক। ওনার চাচা তো রাজাকার কমান্ডার ছিলেন, কাদের ভাই নিজে গিয়ে গুলি করে মারছে। তাদের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর সদস্য, আর মামা ছিলেন রাজাকার ।

এতো দিন পর কেন এসব কথা বলছেন জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা সাহেব এক মাস দুই দিন হয়ে গেলো কন্টিনিউ এমপিদের অপমান করে যাচ্ছেন। ওনার ভাই  ওবায়দুল কাদের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। ওনি কোনো বিচার করছেন না। এখন আমি একটু বলে দেখলাম। এই  কথা বলার জন্য আমাকে বহিস্কার করলে হয়ে যাবো, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দলটা সুসংগঠিত থাকুক। এতো নিম্ন পর্যায়ের  একজন নেতা, দলের এতো বড় বড় নেতাদের যা ইচ্ছে তা বলে যাচ্ছে, এটা আমার বিবেকের কাছে তাড়না দেয়।

রাতের লাইভে বলা ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সড়িয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিলেট করেছি একধরনের চিন্তা থেকে, আমি যখন দেখলাম একটি রাজাকার পরিবারের সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে, যেমন আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এসব ভাবলাম। তাছাড়া আরেকটি কারণ হচ্ছে আমার ছেলে বলছে, এটা ডিলেট  করে দেয়ার জন্য। আমি ছেলের অনুরোধ রেখেছি। তার কথায় তিনি অটুট আছে কিনা জানতে চাইলে, এই এমপি বলেন, অবশ্যই ঠিক আছি। তারপরও যদি আমাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দলকে সঠিকভাবে নিয়ে আসা হয় ও উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায় এবং কথা বলতে যেন ভেবে  চিন্তে  বলে।

পূর্বকোণ/মামুন