চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা তদন্ত করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

ছাপানো সংবাদপত্রগুলোর নথিপত্রের সঙ্গে বাস্তবের প্রচার সংখ্যার মিল খুঁজে না পাওয়ায় ডিএফপির তদন্তের বাইরেও সরকারি তদন্ত সংস্থা দিয়ে তদন্তের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র ফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন এবং সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে ফোরামের পক্ষ থেকে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো তুলে ধরেন ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও সংগঠনের উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক পত্রিকা আছে নিয়মিত বের হয় না। যেদিন ক্রোড়পত্র বা বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয় কিন্তু এগুলো দৈনিক পত্রিকা হিসেবে নিবন্ধিত। এই পত্রিকাগুলোর উপস্থিতি যে পত্রিকাগুলো নিয়মিত বের হয় তাদের স্বার্থের হানী হয় এবং অনিয়মিত বের হওয়া পত্রিকা তো দৈনিক পত্রিকা হতে পারে না। এটি নিয়ে আমি উদ্যোগ নিয়েছি এজন্য অনেকেই আমার ওপর অসন্তুষ্ট।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন যাওয়ার একটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতো, আমি অনেকটা সেটি কমাতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এটিকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা নিয়ে, যে প্রচার সংখ্যা আছে, যেভাবে লিপিবদ্ধ আছে এটার সাথে বাস্তবতার আসলে মিল খুব কম। ডিএফপির তদন্তের বাইরেও সরকারি তদন্ত সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানোর কাজ হাতে নিয়েছি। ডিএফপির তালিকাভুক্ত প্রথম ১০০টি পত্রিকা প্রথম তদন্ত করা হবে, এরপর বাকি ১০০ করে, এভাবে তদন্ত করা হবে। এরপর বোঝা যাবে আসলে প্রচার সংখ্যা কত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে দু’একটি নতুন পত্রিকা বাদে সব পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কমেছে। কিন্তু আমার কাছে দরখাস্ত আসে এই করোনাকালেও প্রচার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য, যেটি বাস্তবতার সঙ্গে আসলে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

সরকারের সমস্ত ক্রোড়পত্র তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারি বিজ্ঞাপনের পরিমাণের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সরকারি বিজ্ঞাপনের বিল বিজ্ঞাপন প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে পাওয়া উচিত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে, আমরাও তাগিদপত্র দিয়েছিলাম, আমরা আবারও এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করব।

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট