চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাইল ছবি

মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জানুয়ারি, ২০২১ | ১:০১ পূর্বাহ্ণ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপহার হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোয় বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরপূর্তির অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভারত থেকে উপহারস্বরূপ যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেয়েছি সেটা এসে পৌঁছে গেছে। এজন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। টাকা দিয়ে কেনা ভ্যাকসিনটা ২৫ বা ২৬ তারিখ এসে পৌঁছাবে। ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে বিষয়ে সব পরিকল্পনা আমরা নিয়ে রেখে দিয়েছি’।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য আজ বিশ্ব স্থবির। আমিও ঘরে বন্দি। মাঝে মাঝে মনে হয় ২০০৭ সালে যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলাম তখন একটা ছোট কারাগারে ছিলাম, এখন মনে হচ্ছে একটা বড় কারাগারে আছি। যে কারণে আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে, কিন্তু সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারলাম না। সত্যিই আমার জন্য এটি খুব কষ্টের ও দুঃখের। বিশ্ববিদ্যালয়ে মনটা পড়ে থাকলেও উপায় নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করেই দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আগামী দিনের পথ চলায়, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে দক্ষ মানব শক্তি দরকার, এ মানবশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই গড়তে পারে বা এখান থেকে যাত্রা শুরু করতে পারে, যাকে অনুসরণ করে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারাও এমনভাবে কাজ করবে যাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তাল মিলিয়ে চলতে পারি। তার কেন্দ্রবিন্দু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, যেটা আমরা আনতে পেরেছি। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় প্রতি রাতে অস্ত্রের ঝনঝনানী শোনা যায় না, গোলাগুলিও শোনা যায় না, বোমাবাজিও শোনা যায় না। অবশ্য বলা যায় না, আজকেই কথা বললাম, হয়ত আজকেই কেউ টাস করে একটা ফোটাতে পারে। এটা অবশ্য আমাদের দেশে হয়ে থাকে। ওটা কিছু না, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মতো দক্ষতা যথেষ্ট আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর জন্য যেকোন বাধা অতিক্রম করতে আমি সচেষ্ট। এটা মানুষও উপলব্ধি করতে পারে- এটা আমার বিশ্বাস। একটা সময় অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত। সাহস পেয়েছি বাবার কাছে। সব সময় বাবার আদর্শে চলার কারণে মনের মধ্যে কোন ভয় বা দ্বিধা নেই। মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, একটা সিদ্ধান্ত নিলে সেটা বাস্তবায়ন করা যায়।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনা আমাদের জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এসেছে। কিন্তু এর সব অতিক্রম করতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হব। এরপরেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো রেখে যাচ্ছি। ২০৭১ সালে দেশের শতবর্ষ উদযাপন হলে সেদিন বেঁচে থাকব না। আমার ইচ্ছা সেদিন যারা থাকবে, তারা যেন উন্নত দেশে সেদিনটা উদযাপন করতে পারে।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট