চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অস্তিত্ব রক্ষায় তামাক চাষ বৃদ্ধির দাবি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ | ৭:৩১ অপরাহ্ণ

শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন সিগারেট কোম্পানির অস্তিত্ব রক্ষা করে তামাক চাষীদের চাষ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ও অবহেলিত তামাক চাষিরা। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।

সমাবশে তামাক চাষিরা বলেন, কিছু মহল দেশীয় তামাক শিল্পকে কৌশলে হত্যা করছে। দেশে বর্তমানে শুধুমাত্র দুটি বিদেশি কোম্পানি ও কয়েকটি দেশীয় কোম্পানি তামাক ক্রয় করে। কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর আগেও আমরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি কোম্পানি শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে ন্যায্যমূল্যে তামাক বিক্রি করতাম। দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিম্নমানের আর বিদেশি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের সিগারেট উৎপাদন করতো। ফলে আমরা আমাদের তামাক পাতা দেশীয় কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এখন একটি বিদেশি মালিকানধীন কোম্পানি নিন্মমানের সিগারেট উৎপাদন করে পুরো বাজার দখল করে নিয়েছে। তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো পেরে উঠছে না। বাজার হারাতে হারাতে দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিঃস্ব হয়ে গেছে। বর্তমানে ৩০টি শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানির মধ্যে ২৫টি কারখানা কোনোমতে চলছে কিংবা বন্ধ আছে, উৎপাদন করতে পারে না। তারা আমাদের কাছ থেকে তামাক নেয় না।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, দেশে আগে কত তামাক উৎপাদন হতো আর এখন কত হচ্ছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেটে আপনি এবং অর্থমন্ত্রী ওয়াদা করেছিলেন শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য আলাদা নীতিমালা তৈরি করবেন। যাতে তারা উৎপাদনে ফিরে আসতে পারে এবং ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। ২০১৮ সালের বাজেটে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানীর জন্য মহান জাতীয় সংসদে যে নীতিমালা পাস হয়েছিল অুনমোদন হয়েছিল সেটি এখনও বাস্তাবায়ন হয়নি, একটি মহল সেটি এখনো বাস্তাবায়ন করতে দেয়নি।

তারা আরো বলেন, শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানী এই দেশ ছেড়ে যাবেনা। কিন্তু আমার জানি অনেক বিদেশি কোম্পানী এই দেশে এসছিল। তারা ব্যবসা করেছে, মুনাফা করেছে, তারপর তারা ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেছে। তারা এই দেশের জন্য কিছুই রাখেনি। যে সিগারেটের বাজার থেকে সরকার প্রতিবছর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে তা শুধুমাত্র বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়া উচিৎ হবে না। দেশে উৎপাদিত তামাক বিদেশে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়।

তারা বলেন, আমাদের সুযোগ দিন আমার উৎপাদন করতে চাই। আমাদের দেশের মাটি উর্বর, আমারা কৃষিকাজে ফিরে যেতে চাই। এবং শতভাগ মালিকানাধীন কোম্পানীগুলোকে বাঁচানোর জন্য যে নীতিমালা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করলে আমরা আবার কৃষিকাজে ফিরে যেতে পারব।

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট