সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল- দুহাইলান বলেছেন, ‘৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা হয়ে রিয়াদ অথবা দাম্মাম হয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ায় সৌদি আরব এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করছে। এদের পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকায় বা পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ায় তাদের তালিকা বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চ পর্যাযের কমিটি কাজ করছে।’

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ৩০ হাজার জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানশেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত জানান, ‘সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকা সফর করার কথা ছিল। কিন্তু সৌদি আরবের নতুন পরিস্থিতির কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত হয়েছে। তবে শিগগিরই সফরটি হবে।’

প্রতিদিন ঢাকায় বাংলাদেশিকে ভিসা দেয়ার পরিমাণ জানতে সৌদি রাষ্ট্রদূত জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেড় হাজার ভিসা দেয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ ছয় হাজার পর্যন্ত দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশি নাগরিক যদি সৌদি আরবে রোহিঙ্গা ‌হিসেবে গিয়ে থাকে অবশ্যই তাদের পাসপোর্ট না থাকলে আমরা পাসপোর্ট দেব। তবে তারা যদি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে না যায় আর রোহিঙ্গা হয় সেক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫০-৬০ বছর আগেও রোহিঙ্গারা এসেছে। তাই এটি নতুন কোনো সমস্যা নয়। আর সৌদি আরব এতটাই উদার যে সেই সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। সৌদি আরবের একটা এলাকায় রোহিঙ্গারা থাকে। আমরা সবসময় বলছি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নয়, এরা মিয়ানমারের অধিবাসী। আমরা আমাদের লোকজনকে পাসপোর্ট দিলে তা অবশ্যই নবায়ন করব। কিন্তু মিয়ানমারের অধিবাসী হলে তারা বাংলাদেশি নন।’

এদিকে, সৌদি রাষ্ট্রদূতের নতুন ওই বক্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পূর্বকোণ/আরপি