স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কাজেই দেশে ৪-৫ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে তা সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

সরকার ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে। জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাসপাতালে রাখা ৫-১০টি আইস ফ্রিজারে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সারা দেশে যুক্ত করা হয়েছে বর্তমানে ৭ হাজার ৩৪৪টি টিম। প্রতিটি টিমে ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্যাকসিন দিতে কোনো অনিয়ম যাতে না হয় তা কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সকল তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।
বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকাদানের জন্য প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি এপস আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরকারিভাবে টিকাদান শুরু করার পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশের বড় বড় বেসরকারি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্ত সাপেক্ষে ভ্যাকসিন দিতে পারবে।

পূর্বকোণ/আরপি