চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নির্যাতিতদের মধ্যে মেয়ে ১০৮৮

২০২০ সালে নির্যাতনের শিকার ১৫২১ শিশু

অনলাইন ডেস্ক

৯ জানুয়ারি, ২০২১ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৫২১টি শিশু নির্যাতনের মধ্যে মেয়ে শিশু ১০৮৮ জন আর ছেলে শিশু ৪৩৩ জন শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের মধ্যে ৬২৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এমজেএফ সংস্থাটি।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে শিশু অধিকার-বিষয়ক সংবাদের আধেয়-বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপস্থাপন করে এমজেএফ জানিয়েছে, এই সময়ে বাল্যবিবাহ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে!

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘শিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট ২০২০’ আটটি জাতীয় পত্রিকায় পাতা থেকে পুরো প্রতিবেদনটি প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীনা আনাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ৮টি পত্রিকা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের ঘটনাই আমরা দেখি। সব ঘটনা পত্রিকায় আসে না। তবু আমরা চেষ্টা করি। আমরা দুই বছরের তুলনা করে থাকি। এইবার করোনার এই সময়টি একটা ইউনিক সময়। স্কুল কলেজ সব বন্ধ ছিল। বাচ্চারা সব বাসায় বন্দিই ছিল। বাড়িতে থাকার পরও অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তায় ‘আরো কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, এই নির্যাতন বন্ধ করতে যৌথ একশন প্ল্যান কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং সেই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর কি কি লাগবে তাও আমাদের ভাবতে হবে। শিশুদের আলাদা অধিদপ্তর আসলেই আমাদের দরকার। মহিলা ও শিশু হলে গুরুত্ব কম দেয়া হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ( শিশু ও সমন্বয়) মুহিবুজ্জামান বলেন, গতবারের তুলনায় বাড়লো কী কমলো সেটা মূল বিষয় নয়। আমরা সব শিশুর নিরাপত্তা চাই।

তিনি বলেন, বর্তমানে শিমু নির্যাতন একটি সামাজিক সমস্যা। শুধু আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সামাজিকভাবেই এটি মোকাবিলা করতে হবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে নিয়েই কাজ করতে হবে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট