আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে বাংলাদেশ ইমাম ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, এ ঘটনায় নকল হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হক জড়িত। এছাড়া আসগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসকরাও জড়িত। কারণ তারা ভুল ওষুধ দিয়ে আহমদ শফীকে হত্যা করেছেন। তাই তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ইমাম ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদের মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্রদের দিয়ে আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যুর আগে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করা হয়েছিল। এমনকি তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসার কমিটিও দেয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি, শফী সাহেবের ছেলেকে জানাজায় আসতেও দেয়া হয়নি। এতে বোঝা যায়, আল্লামা আহমদ শফী সাহেব হুজুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

সরকারের কাছে অনুরোধ করে তিনি বলেন, শফী সাহেবকে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত ও ড. ইউনূসের অগণিত টাকার বিনিময়ে নকল হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে হুংকার দিচ্ছেন জানিয়ে ইসমাইল হোসাইন বলেন, এখন থেকে নকল হেফাজতে ইসলামকে রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলতে চাই, দেশের কোথাও হেফাজতের প্রোগ্রাম হতে দেয়া যাবে না। যদি কোথাও হয়, তবে রাস্তায় নেমে লাঠি নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা হবে।

সংগঠনের মহাসচিব কাজী শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বকোণ/আরপি