চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

৫৫ হাজার পৃষ্ঠায় ৯ ফাঁসির আসামির আপিল

৬ জানুয়ারি, ২০২১ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহ ও হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি। আপিলে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিপত্রসহ ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫ পৃষ্ঠার আবেদনটি জমা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উচ্চ ও নিম্ন আদালতের রায় সংযুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ একটি আপিলে পৃষ্ঠা সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৬২৩টি। ১৪০টি ভলিউম করে এই আপিল দাখিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫৫ হাজার ৬২৩ পৃষ্ঠার আপিলের ১৪টি সেট দাখিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখায়। এ নিয়ে এক আপিল দাখিল করতে গিয়ে ১৪টি সেটে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭২২ পৃষ্ঠা। আর মোট ভলিউম হয়েছে ১ হাজার ৯৬০টি। ব্যয় হয়েছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

এদিকে অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে যেন পেপারবুক দাখিল করতে না হয় সেজন্য প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করেছেন আসামি পক্ষের অন্যতম আইনজীবী এম. আমিনুল ইসলাম।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ একটি পূর্ণাঙ্গ আপিল দাখিল করেছে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে। অন্য আপিলগুলোতে পেপারবুক দাখিল থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। সেজন্য আমরা পেপারবুক দাখিল থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুধু মেমো অব আপিল করার জন্য আবেদন করেছি প্রধান বিচারপতির কাছে।

যারা আপিল করেছেন:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয় আসামি হলেন- কামাল মোল্লা, মনিরুজ্জামান, ইউসুফ আলী, আবু সাঈদ, আলম সাঈদুর রহমান, আনিসুজ্জামান, ফজলুল করিম, বজলুর রশীদ ও অন্য একজন। এই নয় আসামি উচ্চ ও নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন বলে জানান তাদের আরেক আইনজীবী মো. শাহীন ফারাজী। এর আগে হাইকোর্টে খালাস ও সাজা হ্রাস হওয়া প্রায় আড়াইশত আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২২৮ জনকে। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৮ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। ঐ রায়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজার। পৃথিবীর ইতিহাসে আসামির সংখ্যা ও ফাঁসির দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। সেদিন বিডিআর জওয়ানরা ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট